শিক্ষা ব্যবস্থাকে সামনে রেখে ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত

বাংলার শিক্ষার মান নেমে গিয়েছে। সবকিছুর পিছনে রয়েছে রাজনীতি- বৃহস্পতিবার, রাজভবনের সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্যের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বুধবারই রাজ্যের সব উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠক ডাকেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেখানে কেউ উপস্থিত না হওয়ায়, এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একরাশ উদ্বেগ ব্যক্ত করেন তিনি।
অতিমারী পরিস্থিতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা নিয়ে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন জগদীপ ধনকড়। সেই বিষয়ে বুধবার উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকে ডাকেন আচার্য। কিন্তু সেই বৈঠকে কোনও উপাচার্যই যোগ দেননি। এরপরই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় রাজনীতিকরণের অভিযোগ তুলে সরব হন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে রাজভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রশ্ন তোলেন, কেন সম্মতি দিল না রাজ্য সরকার? সবকিছুর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আর এই রাজনীতিকরণের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ধনকড়।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকের প্রথমেই দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর যেসব পরীক্ষা ফল বেরিয়েছে, সেই সফল ছাত্রছাত্রীকে অভিনন্দন জানান রাজ্যপাল। একই সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের আগাম শুভেচ্ছা জানান তিনি।
দীর্ঘ সংবাদিক বৈঠকে শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাতের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন ধনকড়। সেখানে যেমন আসে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সমাবর্তন ঘিরে বিক্ষোভের প্রসঙ্গ, তেমনি পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চপদস্থ আধিকারিক বাদলের বিষয়টিও উল্লেখ করেন। রাজ্যপাল এদিনের বক্তব্যের আগাগোড়াই অভিযোগের নিশানায় ছিল রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সামনে রেখে রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাতের পারদ আরও চড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Previous articleডেপুটি সেক্রেটারির সংক্রমণ, বন্ধ জেলা পরিষদ ভবন
Next articleকোভিড নিয়ম না মানায় পেস বোলার আর্চারকে দল থেকে ছেঁটে ফেলল ইংল্যান্ড