এই সাফল্যের কৃতিত্ব শাশুড়ির, মন্তব্য ৩২-এ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ বৌমার

নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। একচালার ঘরে টিমটিম করে জ্বলছে আলো। সেই আলোতেই লেখাপড়া চালিয়ে গিয়েছেন বৌমা। আর পাশে বসে থেকেছেন শাশুড়ি। পান্ডুয়া ব্লকের তালবোনা কলোনির বাসিন্দা অমৃতা সানা ৩২ বছর বয়সে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েছেন। আর এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব তিনি দিয়েছেন তাঁর শাশুড়িকে। অমৃতার কথায়, “শাশুড়ির অনুপ্রেরণায় সফল হয়েছি।”

লেখাপড়ার মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পারিবারিক অনটন। বিয়ের পরও লেখাপড়া ইচ্ছে থেকে গিয়েছিল। বাড়ির কাজ সামলে রাত জেগে লেখাপড়া করেছেন অমৃতা।
তিনি জানান, “পান্ডুয়ার সিমলাগড়ের গোয়ারা গ্রামে জন্ম আমার। সংসারে অভাব থাকায় বাবা-মা পাঠিয়ে দিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির মামাবাড়িতে। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর বাড়ি ফিরে যাই। আর লেখাপড়া করা হয়নি।”

এরপর তালবোনা কলোনির প্রবীর সানার সঙ্গে। স্বামী গাড়িচালক। শ্বশুরবাড়ির উৎসাহে তিনি ভর্তি হন ভিটাসিন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। অমৃতা জানান, “সারারাত জেগে লেখাপড়া করতাম। সেই সময় পাশে বসে থাকতেন শাশুড়ি।” তাঁর শাশুড়ি বলেন, ‘‘আমাদের একটাই ছেলে। মেয়ে নেই। ওকে আমরা নিজের মেয়েই ভেবে এসেছি। ছেলে সংসারের চাপে মাধ্যমিক পাশ করতে পারেনি। বৌমা নিজের চেষ্টায় মাধ্যমিক পাশ করেছে। আমরা খুব গর্বিত ওর এই সাফল্যে।”

Previous article‘পদ্মশ্রী’র পর ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’এ নাম বোলপুরের ‘এক টাকার ডাক্তার’এর
Next articleজগৎবল্লভপুর থানার ওসি করোনায় আক্রান্ত, কোভিড জেলাশাসকের দফতরেও