গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানাল হাওয়া অফিস

গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত । সঙ্গে বজায় থাকবে আর্দ্রতা ও অস্বস্তি। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।  আগামী কয়েকদিনে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। মৌসুমী অক্ষরেখা এখন অমৃতসর, চণ্ডীগর, জামশেদপুর এবং তারপর দিঘা হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উপর ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব রয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। এরই পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের অবস্থার শেষ পর্যন্ত উন্নতি হয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্রের হিসেব। আপাতত সেখানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গ থেকে সরে গিয়েছে। ফলে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এই মুহূর্তে আর নেই উত্তরবঙ্গে। বৃষ্টির পরিমান কমেছে তা বোঝা যাবে এর পরিমান দেখলেই। গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং-য়ে ১৫.০, কোচবিহারে ০.০, কালিম্পঙে ৬.০, শিলিগুড়িতে ৩.০ মিলিমিটার , মালদহে ২.০ মিলিমিটার। একমাত্র জলপাইগুড়িতে ৮৬.০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। গত ৪৮ ঘণ্টায় দার্জিলিং-য়ে ২.০, কোচবিহারে ০.১, কালিম্পঙে ১০.০, জলপাইগুড়িতে ৭.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একমাত্র শিলিগুড়িতে ৫৭.০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। তবে এটাও কম , কারণ বিগত দিনগুলিতে ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি যে কমেছে এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট।

Previous articleএকাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের
Next articleনিজেকে ঈশ্বরের পায়ে সমর্পণ করেছেন অমিতাভ