বোনের নম্বর দেখে চক্ষু চড়কগাছ দাদার, নোশিফার সাফল্যে গর্বিত বিড়ি মহল্লা

নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না দাদা। ফোনে বোনের নম্বর দেখে উঠোনে হুড়মুড়িয়ে নেমে এসেছিলেন তিনি, “ও নোশিফা তুই কত্ত নম্বর পাইস রে, দেখস!” নোশিফা ও তখন জানেনা প্রথম হওয়ার খবর। এমনকী ক্লাসও কখনো প্রথম হয়নি সে। জঙ্গিপুরের খাশ বিড়ি মহল্লার নোশিফা খাতুন হাই মাদ্রাসার পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে। শুধু নিজেই অবাক হয়েছে তা নয়, তার এই সাফল্যে অবাক গ্রামবাসীরাও।

এই সাফল্যের জেরে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সে। নিজেই বলল, “প্রথম হয়েছি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। একেবারে চমকে গিয়েছি খবরটা শুনে।” মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মুনিরিয়া হাইমাদ্রাসার শিক্ষকরা তার এই সাফল্যে খুশি। এক শিক্ষকের কথায়, “ও লেখাপড়ায় খুব ভালো। নিয়মিত ক্লাসে আসত। কিন্তু ৯৫ শতাংশ প্রথম হয়ে যাবে সত্যি ভাবিনি।”

ওই বিড়ি মহল্লাতে দাঁড়িয়ে ইতিহাস তৈরি করতে চায় নোশিফা। হাই মাদ্রাসায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৭৭১। নোশিফার প্রিয় বিষয় ইংরাজি। ভবিষ্যতে ইংরাজি নিয়েই পড়তে চায় সে। বাবা তৈয়ব শেখ পেশায় রাজমিস্ত্রি,মা জসেনুর বিবি বাড়িতে বিড়ি বাঁধেন। তবে রুজির টানে  তৈয়ব এখন বর্ধমানে। নোশিফা বলে, ‘‘আব্বাকে খবরটা জানালাম। আনন্দে কেঁদে ফেলল আব্বা।” বোনের এই সাফল্যে খুশি দাদা এবং দিদি। যদিও এই কৃতিত্ব নোশিফা দিতে চায় তার মাকে। জসেনুর বিবি বলেন, ” মেয়েটা আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। ও এভাবে কথা রাখবে ভাবতে পারিনি।”

Previous articleবিধায়ক প্রতি ২৫কোটি! রাজস্থানে এমএলএ কেনাবেচার টেপে বিপাকে বিজেপি
Next articleপ্রকাশিত হলো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল, পাশের হার ৯০.১৩ শতাংশ