Wednesday, December 17, 2025

ব্যাট হাতে দর্শককে মারতে গিয়েছিলেন পাক-ক্রিকেটার ইনজামাম! রহস্য ভেদ ২৩ বছর পর

Date:

Share post:

১৯৯৭-এ ভারত-পাকিস্তানের সাহারা কাপের দ্বিতীয় ম্যাচ। ভারত তখন পাকিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্যে। ইনিংসের ১৬ তম ওভার। মাঠে হঠাৎই দেখা গেল ফিল্ডিং করতে করতে মারমুখী পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইনজামাম উল হক। ব্যাট হাতে ধেয়ে গেলেন গ্যালারির দিকে। শোনা গিয়েছিল, তাঁকে ব্যঙ্গ করা হচ্ছিল এক দর্শক। ক্ষুব্ধ ইনজামাম ছুটে গিয়েছিলেন সেই দর্শককে মারতে। ঘটনার ২৩ বছর পর সেদিনের আসল কারণের রহস্য উন্মোচন করলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তী পেসার ওয়াকার ইউনিস।

ইউনিস জানিয়েছেন,প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের স্ত্রীকে অপমান করাতেই ক্ষেপে গিয়েছিলেন ইনজামাম। সেই দর্শককে শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন,’দর্শকদের মধ্যে থেকে ইনজামামকে ‘আলু’ বলে ডাকা হচ্ছিল। দর্শকদের মধ্যে কেউ কেউ আজহারউদ্দিনের স্ত্রী সম্পর্কে খারাপ কথাও বলছিল। ইনজির সেটা ভাল লাগেনি। আমরা মাঠে একে অপরের প্রতিপক্ষ ছিলাম ঠিকই কিন্তু আমাদের মধ্যে দারুণ বন্ধুত্ব ছিল। গ্যালারি থেকে কেউ এক জন আজহারের স্ত্রী সম্পর্কে বাজে কথা বলেছিল। সেই সময়ে সম্ভবত সেলিম মালিক অধিনায়ক। ওকে বলে ফাইন লেগে ফিল্ডিং করতে গিয়েছিল ইনজামাম। টুয়েলভথ ম্যানকে ডেকে একটা ব্যাট নিয়েছিল। সেই ব্যাট নিয়ে তেড়ে গিয়েছিল ইনজামাম।’

এই ঘটনার জেরে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছিল ইনজামামকে। ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি দুই ম্যাচ সাসপেন্ড থাকতে হয়েছিল পাক তারকাকে।

spot_img

Related articles

যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা-কাণ্ডে শোকজের জবাব জমা তিন শীর্ষ কর্তার

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার ঘটনায় শোকজের জবাব জমা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, ক্রীড়া...

যোগী রাজ্যে বাতিল ম্যাচ, সমালোচনার মুখে বিসিসিআই

প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে লখনউতে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (India and South Africa )চতুর্থ টি২০ ম্যাচ ভেস্তে গেল।  গোটা...

বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু, কোন রুটে হবে কলকাতা ম্যারাথন? জানুন বিস্তারিত

আগামী ২১ ডিসেম্বর টাটা স্টীল কলকাতা ম্যারাথন(25K Kolkata)। তার  আগে বুধবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যারাথনের রুট ঘোষণা হল। ...

জিটিএ শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের রায় ঘিরে পাহাড়ে স্কুল ধর্মঘটের ডাক

কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল দার্জিলিং পাহাড়ের শিক্ষা পরিস্থিতি। জিটিএ অঞ্চলে ৩১৩ জন শিক্ষক...