দক্ষ ফরেস্ট রেঞ্জারের বদলি: বিরোধিতায় তৃণমূল কর্মী সংগঠন থেকে স্থানীয়রা

জলপাইগুড়ির বেলাকোবার ফরেস্ট রেঞ্জার তথা টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্তর বদলি মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সংগঠনও। এই বদলির বিরোধিতা করে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন সংগঠনের সদস্যরা। এই সরকারি সিদ্ধান্তে বিরুদ্ধে সরব স্থানীয় বাসিন্দারাও। বাড়িতে প্রচুর কাঠ মজুত থাকলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সোনাজয়ী অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মনকে নোটিশ ধরিয়ে ছিলেন বনদফতরের আধিকারিক সঞ্জয় দত্ত। এক মাসের মধ্যে সমস্ত নথি দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ কাজের ‘শাস্তিস্বরূপ’ টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্তক পাহাড়ে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। এই শাস্তির প্রতিবাদে সরব স্থানীয় বাসিন্দারা।

প্রথমে স্বপ্না বর্মনের বাড়িতে বনদফতরের এই অভিযানের বিরোধিতা করেছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি। পরে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ফোনে স্বপ্নাকে আশ্বস্ত করেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”স্বপ্না নির্দোষ, সরল মেয়ে। বাংলার গর্ব। ওর বাড়িতে যে বনদফতর অভিযান চলিয়েছে, তা আমাদের না জানিয়ে। ওই অফিসারকে বদলি করে দেওয়া হবে।”
বেলাকোবার রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তকে পাহাড়ে বদলির সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না স্থানীয়দের অধিকাংশই। বদলি আটকাতে বনমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সমর্থিত কর্মী সংগঠনের সদস্যরাও।
স্থানীয়দের মতে, সঞ্জয় দত্ত অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অবৈধভাবে কাঠ বিক্রি, বন্যপ্রাণ হত্যা ও পাচার রুখে দুষ্কৃতীদের কাছে রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন। জঙ্গল সংরক্ষণে স্থানীয়দের উৎসাহী করে তুলেছিলেন। স্থানীয় জঙ্গল রক্ষা কমিটির দাবি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তিনি স্বপ্না বর্মনের বাড়িতে অভিযান চালান তিনি। তাছাড়া অবৈধভাবে কাঠ মজুত করলে, সেটা তো অন্যায়ই। সোনাজয়ী অ্যাথলিট বলে তো আইনের উর্ধ্বে নন। এর জেরে সঞ্জয় দত্তকে শাস্তিমুলক বদলি করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।