মহামারি আবহে অভিনব কায়দায় মানবিক হওয়ার বার্তা ‘চুঁচুড়া আরোগ্য’র

মারণ ভাইরাসের কোপ পড়লেই প্রতিবেশীদের তিরস্কারের অভিযোগ সামনে আসছিল। এমনকী আক্রান্তদের বাড়িতে ইট-পাটকেল ফেলার অভিযোগ উঠে এসেছে। দিন কয়েক আগে এই ঘটনা ঘটতে রাতের ঘুম উড়েছিল ‘চুঁচুড়া আরোগ্য’র পৃষ্ঠপোষক ইন্দ্রজিৎ দত্তর। প্রাথমিকভাবে চুঁচুড়া থানায় খবর দিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামলেছিলেন তিনি। কিন্তু পাকাপাকি ভাবে সমস্যা সমাধান করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন ইন্দ্রজিৎ দত্ত। মানবিক হওয়ার বার্তা দিতে অভিনব প্রয়াস সৃষ্টি করে ফেলেন। চিত্রনাট্যের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে উদ্যোগী হন তিনি।

ইন্দ্রজিৎ দত্তের কথা মতো গোটা আরোগ্যর স্বেচ্ছেসেবকরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ময়দানে নেমে পড়েন। আরোগ্যর সদস্য অরিজিত দাস গল্প লিখে ফেলেন। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে সেই গল্প নিয়েই শুরু হয় মহড়া। আরোগ্য অফিসে মঞ্চস্থ হয় গোটা নাটক। তা রেকর্ডিং করা হয়। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত বসে এডিটিং হয় নাটকটি।

রবিবার সেই নাটকেরই আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হয়। এদিন হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার সভাকক্ষে এই অনুষ্ঠানে আরোগ্যর সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রশাসক গৌরিকান্ত মুখোপাধ্যায়, চুঁচুড়া থানার আই.সি প্রদীপ দাঁ সহ বিশিষ্টজনেরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এদিনের এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পর্দায় ১৫মিনিট দৈর্ঘ্যের এই উপস্থাপনা দেখে যথেষ্ট উৎসাহ প্রকাশ করেন চুঁচুড়া থানার আধিকারিক প্রদীপ দাঁ। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এই নাটক টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দেন পুরপ্রশাসক গৌরিকান্ত মুখোপাধ্যায়। ইন্দ্রজিৎ দত্ত বলেন, “এই ভাইরাসকে হারাতে মানুষকে যেমন সচেতন হতে হবে, তেমনই মানবিকও হতে হবে।”

Previous articleআর্থিক অনটনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ৯৯ শতাংশ পেল নারায়ণ
Next articleপ্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস, ভাসছে উত্তরবঙ্গ