অতিমারি প্রতিষেধকে সাফল্য, দাবি অক্সফোর্ডের

ভাইরাস নাশে বড় সাফল্য পেল অক্সফোর্ড। এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা। মানবদেহে প্রাথমিক ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, অক্সফোর্ডের তৈরি এই ভ্যাকসিনে রয়েছে দ্বৈত প্রতিরোধ ক্ষমতা। এটি ১০৭৭ জন ভলেন্টিয়ারের মধ্যে প্রয়োগ করা হয়েছিল। ১০৭৭ জন ভলেন্টিয়ারের মধ্যে ৯০ শতাংশের প্রথম ডোজেই তৈরি হয়েছিল অ্যান্টিবডি। বাকি ১০ শতাংশের শরীরে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করার পরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন, ভাইরাস রোধে অ্যান্টিবডি ও টি-সেলের মাত্রা বাড়াচ্ছে এই প্রতিষেধক। টি-সেল হচ্ছে যা শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি করে এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে তাকে হারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। অক্সফোর্ডের গবেষকরা এটিকে একটি বিরাট সাফল্য বলেই মনে করছেন। তবে গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিনটি যে চূড়ান্ত এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। এর মধ্যে আরও অনেক ধাপ রয়েছে। সেই ধাপগুলো সম্পন্ন হলেই ভ্যাকসিনটিকে চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করা হবে। প্রতিষেধকটি কোন সময়ে বাজারে আসবে তা নিয়ে গবেষকদের একাংশ জানাচ্ছে, সব পরীক্ষা সফল হলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তা চলে আসতে পারে। সোমবার দ্যা ল্যানসেটের মেডিক্যাল জার্নালে এমন ফলই প্রকাশ করা হয়েছে।

Previous articleগোষ্ঠী সংক্রমণের ফল? এবার বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ২,২৮২
Next articleকোচবিহারে নতুন করে আরও আক্রান্তের হদিশ