দিনদিন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে অসমের বন্যা। কেন্দ্রীয় জল কমিশন থেকে সতর্ক করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে অসমে ব্রহ্মপুত্র নদে জলস্তর আরও বাড়তে পারে। দু’সপ্তাহ আগে ব্রহ্মপুত্র দু’কুল ছাপিয়ে ২৫০০ গ্রামকে প্লাবিত করে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোয়ালপাড়া জেলা। সেখান বিপদে পড়েন ৪ লক্ষ ৫৩ হাজার মানুষ। এছাড়া বরপেটায় ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ও মরিগাঁওতে ৩ লক্ষ ৪১ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সব মিলিয়ে রাজ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৭০ লক্ষ মানুষ। ভয়াবহ বন্যায় অসমের ৩৩ টি জেলার মধ্যে ২৪ টিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জল কমিশন থেকে বলা হয়েছে, ধানসিঁড়ি, জিয়া ভারালি, কোপিলি, বেকি, কুশিয়ারা এবং সংকোশ নদীর জলও বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল বলেছেন, “একদিকে করোনা সংক্রমণ অন্যদিকে বন্যা। দু’টি চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে অসমকে। আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। বহু মানুষ ও গবাদি পশুকে বন্যাদুর্গত এলাকা থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে।” কাজিরাঙা অভয়ারণ্য চলে গিয়েছে প্রায় জলের তলায়। জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৯টি গণ্ডারের।
উল্লেখ্য, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোনে সর্বানন্দ সোনওয়ালের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যে মহামারি সংক্রমণ ও বন্যা পরিস্থিতি, দু’টি বিষয় নিয়েই তিনি জানতে চান। মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই বিপদের সময় তিনি অসমের মানুষের পাশে আছেন। রাজ্যের পরিস্থিতির ওপরে কেন্দ্রীয় সরকার নজর রাখছে।