অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন নিরাপদ, দাবি, প্রথম পর্যায়ে সাফল্য মিলেছে

অক্সফোর্ডের অতিমারির ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান-
ট্রায়াল সফল বলে দাবি করা হয়েছে৷ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র খবর অনুযায়ী, খুব বাড়াবাড়ি বা বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভ্যাকসিনটিতে হয়নি৷ যাঁদের উপর ট্রায়াল হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁদের শুধুই জ্বর ও মাথাব্যথা হয়েছে৷
তবে গবেষকরা বলছেন, এই জ্বর, মাথাব্যথা প্যারাসিটামলে সেরে যাবে৷
হিউম্যান-ট্রায়ালের সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ বলছে, এই ভ্যাকসিন নিরাপদ ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করতে সক্ষম৷৷ এই ট্রায়ালে মোট ১,০৭৭ জনের উপর এই ভ্যাকসিন, ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়৷ দেখা গিয়েছে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে ভ্যাকসিনটি অ্যান্টিবডি ও হোয়াইট ব্লাড সেল তৈরি করতে সক্ষম৷ ইতিমধ্যেই এই ভ্যাকসিনের প্রায় ১০ কোটি ডোজ বরাত দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার৷

ভ্যাকসিনটির মেডিক্যাল নাম- ChAdOx1 nCoV-19৷ অতিমারি-ভাইরাসের থাবা থেকে মানুষকে বাঁচাতে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেন অক্সফোর্ডের গবেষকরা৷ সারা গিলবার্টের নেতৃত্বে অক্সফোর্ডের গবেষকদের দাবি, তাঁদের তৈরি এই ভ্যাকসিন ‘T-Cell’ তৈরিতেও সক্ষম। ফাইজারের মতো বিশ্বের বহু সংস্থা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ চালাচ্ছে। তাদের কারও প্রথম বা দ্বিতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগও শুরু হয়েছে। কিন্তু অক্সফোর্ডের মতো অন্য কেউই এখনও পর্যন্ত দাবি করতে পারেনি যে, তাদের ভ্যাকসিনে অ্যান্টিবডির সঙ্গে ‘টি-সেল’ তৈরি হচ্ছে।
সারা গিলবার্টের কথায়, ‘আমাদের তৈরি ভ্যাকসিনে অতিমারি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে, এটা নিশ্চিত করে বলার সময় এখনও আসেনি৷ এখনও অনেক কাজ বাকি৷ তবে প্রাথমিক রেজাল্ট আমাদের আশা জাগাচ্ছে৷’

Previous article‘ কনট্যাক্ট ইওর ইনস্টিটিউশন’ সরিয়ে নম্বর যোগ করল সংসদ
Next articleএকুশে শহিদ তর্পণ-এ বুথে বুথে ১৩টি গাছ লাগাবে তৃণমূল