বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সম্ভাবনার কথা বলার পরই নড়েচড়ে বসেছে সারাবিশ্ব। এই অবস্থায় মাস্ক পড়াকে অপরিহার্য বলে মনে করছে কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ। সিএসআইআর – এর ডিরেক্টর জেনারেল ডা. শেখর মান্ডে বলেন, “প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এমনকী ঘরের মধ্যেও মাস্ক পরা উচিত।”

তাঁর কথায়, “অফিসে যেন বায়ু চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকে। এমনকী কোনও বদ্ধ জায়গায় থাকলে আগে দেখে নিতে হবে সেখানে বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা আছে কি না। খোলা জায়গায় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। একই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার মূল হাতিয়ার মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।”

বায়ুবাহিত এবং অ-বায়ুবাহিত মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ডা. মান্ডে বলেন, “আমরা যখন কথা বলি তখন অ্যারোসোল নির্গত হয়। যা ৫ মাইক্রনের কম। ফলে তা বাতাসে ভাসমান অবস্থায় থাকে। কোনও জনবহুল এলাকায় আক্রান্ত ব্যক্তি থাকলে বাকিদেরও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বদ্ধ ঘরে বায়ু চলাচলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকলেও এই সম্ভাবনা থাকে।

প্রসঙ্গত, ২৩৯ জন বিজ্ঞানী চিঠি দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায়, বায়ুর মাধ্যমে সংক্রমণ হয়। এরপর গত বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানান, “বেনদেত্তা অ্যালেগাঞ্জি বায়ুর মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে উদীয়মান প্রমাণ রয়েছে। ফলে আমাদের আরো অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভাইরাসের ধরণ বুঝতে আরও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন।”
