Friday, November 14, 2025

বিজ্ঞানীদের প্রস্তাব মেনে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের: সাপ্তাহিক লকডাউন প্রসঙ্গে ডেরেক

Date:

সপ্তাহে দুটো আলাদা আলাদা দিন কড়া লকডাউন বিজ্ঞানসম্মত। গবেষকদের প্রস্তাব মেনে এই পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সপ্তাহিক লকডাউনের প্রথমদিন বেলা একটা নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে একথা জানালেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, এটা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, বেঙ্গালুরুর বিজ্ঞানীদের প্রস্তাব।
এইভাবে লকডাউন করলে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমানো যাবে।
এই পরিস্থিতিতে একটানা 14 দিন কড়া লকডাউন পালন করলে সেটা ভালো হত। কিন্তু সেটা বাস্তবসম্মত নয়। সে ক্ষেত্রে মানুষের জীবিকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা যে প্রস্তাব দিচ্ছেন, আর অর্থনীতিবিদরা যে কথা বলছেন দুটোকে মানতে গেলে টানা 14 দিন লকডাউন এর বদলে সপ্তাহে দুদিন লকডাউন অত্যন্ত কার্যকর। তবে সেটা পরপর দুদিন নয়। এই দুদিনের মাঝখানে ব্যবধান রাখতে হবে।
কিছু বিশেষজ্ঞ দলের মতে, যদি এখনই সতর্ক হওয়া যায় তাহলে অক্টোবর মাসে পুজোর সময় বাংলায় সংক্রমণের সংখ্যা একলাখেকে পৌঁছে যাবে। সেটা আটকাতে এই পদ্ধতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। সপ্তাহে একদিন এভাবে করার লকডাউন করলে বিশেষজ্ঞদের মতে সংক্রমণ 40 হাজারে নামিয়ে আনা যাবে। আর দুদিন করলে সেটা কুড়ি হাজার নেমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।
তৃণমূল সাংসদ বলেন, সংখ্যাতাত্ত্বিক গবেষণা পুরোপুরি মেলে না। তবে তার উপর ভিত্তি করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ভ্যাকসিনের গবেষণা চলছে। কিন্তু এখনও সেটা সফল হয়নি। তবু সেই গবেষণার উপর ভিত্তি করেই এগোনো হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউন শুরুর অনেক আগে থেকেই কেন্দ্রকে এ বিষয়ে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন। তিনিই প্রথম পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের স্বার্থেই দেরি করেছে বলে অভিযোগ করেন ডেরেক।
তিনি বলেন, শুধু করোনা নয়, বাংলাকে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আমফানের ও মোকাবিলা করতে হয়েছে। সব বিষয়েই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে মোকাবিলা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনিই প্রথম গণ্ডি কেটে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, কীভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে দোকানে নিরাপদে দাঁড়াতে পারবেন ক্রেতারা।
সবশেষে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “সতর্ক হোন। সরকার যথেষ্ট সতর্ক আছে, সচেষ্ট আছে। রাস্তায় কাউকে বেরোলে যদি দেখেন সে মাস্ক পড়েনি। তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে মাস্ক পরতে বলুন। সুস্থ থাকুন এবং সরকারি গাইডলাইন মেনে চলুন”।

Related articles

গণমাধ্যমই সাঁটিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশী তকমা! জবাব দিতে তৈরি বাংলা

পেশায় শ্রমিক। পেটের দায়ে তারা নানা জায়গায় ছোটেন। কাজের তাগিদে অন্যত্র গেলেই একশ্রেণির মিডিয়া চিৎকার করে ওঠে, ওই...

বিহারের ফলাফলে বাংলা নিয়ে মোদির স্বপ্ন ‘সেগুড়ে বালি’: ধুইয়ে দিল তৃণমূল

একদিকে যখন বিহারে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে, তখন বাংলার বিজেপি নেতারা হঠাৎই আবির খেলা, মিষ্টিমুখে মেতে উঠেছেন। ফলাফল...

SIR আতঙ্কে মৃত্যু: পরিবারের পাশে তৃণমূল নেতৃত্ব

SIR–এর আতঙ্কে প্রায় এক সপ্তাহ আগে আত্মঘাতী হন মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাগডাঙা এলাকার বাসিন্দা মোহন...

দিল্লি বিস্ফোরণের জের: রাজ্যের বিশেষ বিশেষ স্থানে ঢেলে সাজছে নিরাপত্তা

রাজধানীতে গোয়েন্দা ব্যর্থতা স্পষ্ট। সেই সঙ্গে অমিত শাহর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দিল্লি পুলিশও। দিনভর ঘাতক গাড়ি ঘুরে বেড়ালো, অথচ...
Exit mobile version