মহামারির সংক্রমণ এড়াতে ফ্রিজের খাবারে বিশেষ সতর্কতা নেওয়ার পরামর্শ

মহামারির প্রাদুর্ভাবে এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৫ লাখের বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন । প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উৎস, চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য, গতি প্রকৃতি বা বিবর্তনের ধরণ সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
কোন ধরণের আবহাওয়া বা তাপমাত্রায় এর প্রকোপের কতটা তারতম্য হয় – এসব বিষয়ে একেকবার এক এক মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 
কারও কারও মতে , অন্যান্য স্থানের তুলনায় ফ্রিজের ভেতরে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় ভাইরাসটি বেঁচে থাকতে পারে। তবে করোনা সংক্রান্ত অন্যান্য মতের মতো এই বিষয়টি নিয়েও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
এর আগে যেসব করোনাভাইরাস পরিবেশে ছিল, সেগুলোর কয়েকটি প্রজাতি হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় পুরোপুরি কার্যকরী ভাবে বেঁচে থাকতে পারেনি। তবে স্থিতিশীল অবস্থায় টিকে থাকে বলে প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
সাধারণত গৃহস্থালিতে যেসব রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে এই তাপমাত্রা থাকে।
অনেক বিশেষজ্ঞ পরবর্তী গবেষষণার জন্য অপেক্ষা না করে ফ্রিজ ব্যবহারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন । তারা বলেছেন, যেহেতু কাছাকাছি প্রজাতির একটি করোনাভাইরাস সার্স ফ্রিজে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে পারে। কাজেই নভেল করোনাভাইরাসেরও একই বৈশিষ্ট্য থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।ফ্রিজে রাখার পরে তো বটেই, আগেও সব খাদ্যপণ্য অথবা পণ্যের প্যাকেট অন্তত একবার জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া জরুরি।
ভাইরোলজিস্টদের বক্তব্য , ফ্রিজে রাখা খাবারের প্যাকেট বের করার পর সেটি জীবাণুনাশক মেশানো কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে নেওয়া প্রয়োজন।
ফ্রিজে রাখা শাকসবজি রান্না করার আগে কিছুক্ষণ সাবান মিশ্রিত জলে রেখে ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। 
তবে মাছ বা মাংসের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। তাই এগুলো যে প্যাকেটে বা পাত্রে রাখা হবে, সেটিকে জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ভাইরোলজিস্টরা।

Previous articleপুরসভা থেকে সিল করা হল বাড়ি, ভিতরেই রয়ে গেলেন বাসিন্দারা!
Next articleএইমস-এ শুরু প্রথম ভারতীয় কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল, আশায় দেশবাসী