একটা গাছ ঘিরে আবেগ গ্রামবাসীদের। তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক ইতিহাস। হাইওয়ে নির্মাণের কাজে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গাছ কাটা পড়বে। রুখে দাঁড়ান গ্রামবাসীরা ৪০০ বছরের প্রকাণ্ড বটবৃক্ষটিকে বাঁচাতে আন্দোলনের নামে সারাদেশে পরিবেশ কর্মীরা। অবশেষে জয় হলো আন্দোলনকারীদের। মহারাষ্ট্র সরকার জানাল, হাই নির্মাণের জন্য সাংলি বট গাছ কাটা হবে না। বরং ঘুরিয়ে দেওয়া হবে হাইওয়ে।

মহারাষ্ট্রে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের আমলে রত্নগিরি-সোলাপুর জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছিল। উদ্ধব ঠাকরে আসার পর হাইওয়ে নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মাসখানেক আগে জানা যায় ওই নির্মাণের জন্য কাটা যাবে বটবৃক্ষ। এরপরই পরিবেশের স্বার্থে সোচ্চার হন গ্রামবাসীরা।


গ্রামবাসীরা প্রথমে জানান স্থানীয় প্রশাসনকে। এরপর কলেজ পড়ুয়ারা সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হন। যোগাযোগ করা হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পরিবেশবিদ এবং বিজ্ঞানীদের সঙ্গে। কিছুদিনের মধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ গাছ কাটার বিরুদ্ধে সই করেন। লকডাউন চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাছ কাটার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন পরিবেশবিদ, সমাজকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র সরকার আদিত্য ঠাকরেকে গোটা বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেয়।

শনিবার আদিত্য টুইট করে জানান, “ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি তাদের পরিকল্পনা বদল করে হাইওয়ের রাস্তা বদল করেছে। ওই গাছের প্রায় ৩৫০ মিটার দূর দিয়ে যাবে রাস্তা। যন্ত্র ব্যবহারের যেরে যাতে গাছের ক্ষতি না হয় সেদিকেও নজর দেবে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি।” পরিবেশ কর্মীদের কথায়, ” হাইওয়ে নির্মাণের বিরোধিতা আমরা করিনি। আমরা শুধু চেয়েছিলাম এই কাজে যেন পরিবেশের ক্ষতি না হয়।”

