‘হাতে হাতে ২৫’, ভারতে মোবাইল পরিষেবার রজতজয়ন্তী…

দিনটা ছিল সোমবার, ৩১ জুলাই ১৯৯৫। আজ থেকে ঠিক ২৫ বছর আগে। কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং এবং নয়াদিল্লির সঞ্চার ভবনের মধ্যে ফোনে কথোপকথন। ফোনের এক প্রান্তে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, অন্য প্রান্তে নরসিংহ রাও মন্ত্রিসভার যোগাযোগমন্ত্রী সুখরাম। কিছুক্ষণের সাধারণ আলাপচারিতা। সেই সামান্য আলাপচারিতাই খুলে দিয়েছিল নতুন দরজা। মোবাইল থেকে করা ভারতের প্রথম কল ছিল সেটি।

বাকিটা ইতিহাস। এই দিনটির মাহাত্ম্য অন্য। মোবাইল ফোন যে ভাবে ভারতে একটি পর্বান্তর ঘটিয়েছে তার তুলনা বিরল। আধুনিক অর্থনীতিতে তথ্যের গুরুত্ব অপরিসীম ।মোবাইল ফোন সাধারণ মানুষকে সেই তথ্যের অধিকার দিয়েছে। একটি মোবাইল ফোনের কল্যাণে মৎস্যজীবী সমুদ্রে থেকেও খবর পান কোন বাজারে পৌঁছলে কত দাম মিলবে মাছের ! যক্ষা রোগীর মোবাইলে আসে মেসেজ। তাঁকে সময়ে ওষুধ খাওয়ার কথাটা স্মরণ করিয়ে দেয়। অদক্ষ শ্রমিক কাজের খবর পান । অসুস্থ ব্যক্তির অপেক্ষাকৃত সহজ যোগাযোগ করতে পারেন চিকিৎসকের।

এই মোবাইল ফোনের আগের জীবন কেমন ছিল তা হয়তো অনেকেরই অজানা।

প্রথম পর্যায়ে যা ছিল অতি উচ্চবিত্তের বিলাস। এক মিনিট কথা বলতে খরচ হতো ২৪ টাকা। মাত্র দুই দশকের ব্যবধানে গোটা দেশের যে কোন প্রান্তে ফোন করবার খরচ নেমে এল শূন্যে। ২০০০ সালেও আউটগোয়িং কলে খরচ হত ১৬ টাকা। আজ সেই তুলনায় খরচ জলের দরেই বলা যায়। আজ ভারতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ কোটিরও বেশি।

বর্তমানের এই মহামারির পরিস্থিতিতে মোবাইল ফোন কার্যত মানুষের শ্বাসবায়ু হয়ে উঠেছে।

Previous articleস্বামীর কাতর আর্জি, ‘পজিটিভ’-স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হলে রান্না করবে কে?
Next articleবাংলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়ালো দেড় হাজার