সেসব পুরনো ইতিহাস।

কংগ্রেসের সন্ধিক্ষণে প্রথম বলেছিলেন ,” নো ইন্দিরা নো কংগ্রেস”।
ইন্দিরা তাঁকে স্নেহ করতেন।
সঞ্জয় গান্ধীও।

পুরভোটে কাউন্সিলর হয়ে সোমেন মিত্রের যাত্রা শুরু।
কিন্তু তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে যত পরিচিত, তার থেকে ঢের বেশি সংগঠক হিসেবে। সেটা ছিল তাঁর নিজেরও পছন্দ। যুব নেতৃত্ব দিয়ে শুরু। নকশাল বিরোধিতা। তারপর ইন্দিরা কংগ্রেসে তিনি সারা বাংলার “ছোড়দা”। এরপর বিধায়ক।
মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ রায়ের বিরোধী গোষ্ঠীর ছিলেন তিনি। ক্রমশ অনুগামী হয়ে যান গণি খান চৌধুরীর। প্রণব মুখোপাধ্যায়, অজিত পাঁজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ভালো। বরং প্রিয়-সুব্রত জুটির সঙ্গে তাঁর বনত না।
1992 সালে প্রদেশ কংগ্রেস নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে তিনি সভাপতি হন। নরসিংহ রাও, সীতারাম কেশরীর সুনজরে থাকলেও 1998 সালের লোকসভায় তৃণমূলের কাছে কংগ্রেস বিধ্বস্ত হওয়ার পর তিনি ইস্তফা দেন।
2008 সালে সোমেনবাবু তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
2009 তে সাংসদ হন। 2014 সালে আবার ফিরে যান কংগ্রেসে। ততদিনে দল সোনিয়া, রাহুলের হাতে। দিল্লিতে ক্ষমতাচ্যুতও বটে। বছর দুই আগে তাঁকে আবার প্রদেশ সভাপতি করে দল। তিনি আপাতত কংগ্রেস- বাম জোটের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। সভাপতির দায়িত্বে থাকতে থাকতেই চিরবিদায় নিলেন দক্ষ সংগঠক, কর্মীদের কাছের মানুষ সোমেন মিত্র।
