রাজ্যের সুপারিশকে অগ্রাহ্য করে প্রকাশ শিক্ষানীতির, ক্ষুব্ধ শিক্ষাবিদ থেকে উপাচার্য

৩৪ বছর নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই শিক্ষানীতি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শিক্ষাবিদ থেকে উপাচার্য সরব হয়েছেন এই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কেন্দ্রের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল।
স্কুল শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা নিয়ে অধ্যাপক সংগঠন এবং স্কুল স্তরে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনে, শিক্ষাবিদ এবং উপাচার্যদের মতামত নেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী রাজ্যের পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ দেওয়া হয় কেন্দ্রকে।

রাজ্যের সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন ” রাজ্য বেশ কিছু সুপারিশ দিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রকে শিক্ষানীতি তৈরি করেছে তাতে রাজ্যের সুপারিশকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। নতুন শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক গুরুত্বহীন হয়ে যাচ্ছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পরিকাঠামো সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। আমাদের রাজ্যে বহু স্কুল মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত রয়েছে। কেন্দ্রের জারি করা শিক্ষানীতি অনুযায়ী এখন সেই স্কুল গুলিকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত উন্নীত করতে হবে। তার জন্য দরকার বিপুল পরিমাণ টাকা। এই মুহূর্তে টাকা জোগাড় করা কার্যত অসম্ভব।”

নতুন শিক্ষানীতি প্রসঙ্গে মুখ খোলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি বলেন, ” উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, তাতে ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে। নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী স্নাতক কোর্স তিন বছর অথবা চার বছর হতে পারে। এক একটি বিশ্ববিদ্যালয় যদি এক এক ধরনের নিয়ম চালু করে তাহলে সমস্যায় পড়বে ছাত্রছাত্রীরা। রাজ্যের প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এই শিক্ষানীতিতে।

Previous articleকংগ্রেস দুর্বল, সোমেন মিত্র নন: কুণাল
Next articleদু কোটি আত্মসাৎ বিজেপি নেতার!