ভারত ও ভুটানের প্রতি আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে চিন আসলে গোটা বিশ্বের মনোভাব যাচাই করছে। দেখতে চাইছে এর কী প্রতিক্রিয়া হয়। চিনের আগ্রাসী নীতির বিরোধিতা করে একথা বলল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঝামেলা করছে চিন।

বৃহস্পতিবার ফের একবার চিনের আচরণের তীব্র নিন্দা করে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও বলেন, ভারত এবং ভুটানের এলাকার মধ্যে সেনা ঢুকিয়ে আসলে চিন দেখতে চাইছে বিশ্বের অন্য দেশগুলো তাদের এই আগ্রাসনের বিরোধিতা করে কিনা। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সুকৌশলে দেখতে চাইছেন, বিশ্বের কোন কোন দেশ তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা রাখে। সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে চিন। ৫ মে থেকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর দুই দেশের সেনার মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে চিনের বেআইনি কাজের জন্য। সীমান্ত এলাকাগুলোয় বেড়েছে অচলাবস্থা। গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনা সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। চিন সম্প্রতি গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি কাউন্সিলে ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্যকে নিজেদের বলে দাবি করেছে এবং এই প্রকল্পে অর্থ ব্যয়ের বিরোধিতা করেছে। এইসব ঘটনাপ্রবাহ দেখিয়ে দিচ্ছে কীভাবে পায়ে পা লাগিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ঝামেলা পাকাতে চাইছে চিন। চিনের এই মনোভাবের নিন্দা করে ফের একবার শি জিনপিং সরকারকে সতর্ক করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
