২৪ ঘন্টা পার হওয়ার আগেই ক্ষমতার অলিন্দে বসার নেশা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যু শোক কাটার আগেই, তাঁর ফেলে যাওয়া চেয়ারে কে বসবেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ইঁদুর দৌড়। প্রিয় নেতার শোকে বিহ্বল না হয়ে বরং তাঁর পদে নিজেকে দেখতেই বেশি পছন্দ করেছেন এ রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা।
সূত্রের খবর, সদ্য প্রয়াত সোমেন মিত্রের মৃত্যুর ২৪ ঘন্টা কাটার আগেও দিল্লির হাইকমান্ডের কাছে কয়েকশো ফোন চলে গিয়েছে প্রদেশ নেতাদের পক্ষ থেকে। সকলেই নিজেদের লবিকে কাজে লাগিয়ে প্রয়াত নেতার পদ দখল করতে মরিয়া। আর তা নিয়েই ধন্দে পড়েছে দিল্লি হাইকমান্ডকে। তাঁরা কার্যত কিংকর্তব্যবিমূঢ়!
কতটা সহানুভূতি জানা নেই, তবে সোমেন মিত্রের প্রয়ানের খবর মেলার পরই অপ্রীতিকর ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ ইতিমধ্যেই শহরে চলে এসেছেন। গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার কংগ্রেস যেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মৃত্যুর পর আরও সমস্যায় না পড়ে তা সামাল দিতেই তড়িঘড়ি গৌরব গগৈ-এর কলকাতায় আগমন বলে শোনা যাচ্ছে।
বামেদের সঙ্গে সম্বন্বয় ও ভারসাম্য বজায় রাখতেই যোগ্যতম নেতা কে হবেন, সেটাই এখন খুঁজে বের করা চ্যালেঞ্জ হাইকমান্ডের। এবং সেই খোঁজার কাজই করছেন গৌরব।
অধীর চৌধুরীর পরবর্তীকালে সোমেন মিত্র প্রদেশের সভাপতি হওয়ার পর বিধানভবন চত্বরেই ঢুকতে পারছেন না তাঁর অনুগামীরা। এমনকি অধীর সমর্থকদের কার্যত কোণঠাসা করে রেখেছিলেন সোমেন অনুগামীরা। অধীরের সঙ্গে আলাদা লবি হলেই আব্দুল মান্নানের দলবলও সোমেন জমানায় খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি।
এদিকে, সোমেন মিত্রের প্রয়াণের পর এখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদের জোড়াল দাবিদার হিসেবে প্রদীপ ভট্টাচার্য, আবদুল মান্নান, অমিতাভ চক্রবর্তীর নাম নিয়েই আলোচনা চলছে। সবমিলিয়ে সোমেন শোকের মধ্যেই স্বভাবসিদ্ধ ভাবে পদ দখলের লড়াইয়ে নেমে পড়ছে প্রদেশ কংগ্রেসের একাধিক নেতা।