মানুষের স্বার্থে লকডাউন, ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে নয়! রাখি উৎসবে মন্তব্য ফিরহাদের

কোনওরকম ধর্মীয় ভাবাবেগে বা কোনও সম্প্রদায়ের কাউকে আঘাত আঘাত করে রাজ্যে লকডাউনের দিন ঘোষণা করা হচ্ছে না। আগামী ৫ অগাস্ট অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হবে এবং সেই উপলক্ষে পুজো হবে এবং তার জন্যই নাকি পশ্চিমবঙ্গে ওইদিন লকডাউন ডাকা হয়েছে। এমনই মন্তব্য করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, সমস্ত ধর্মীয় ভাবাবেগের মানুষকে সম্মান জানানোই বাংলার সংস্কৃতি। প্রত্যেকের ধর্ম প্রত্যেকের কাছে আলাদা আলাদা। বাংলায় সব ধর্মের মানুষ সম্মান পান। কিন্তু এর সঙ্গে লকডাউনের কোনও সম্পর্ক নেই। লকডাউন ডাকা হয়েছে মানুষের নিরাপত্তার জন্য। করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে এই লকডাউন ডাকা হয়েছে। যেভাবে সংক্রমণ হচ্ছে, তার দিকে তাকিয়েই এই লকডাউন ডাকা হয়েছে। তবে কেউ যদি মনে করে থাকেন ৫ তারিখ কোনও একটি বিশেষ কারণে লকডাউন ডাকা হয়েছে, তা কিন্তু মোটেও নয়। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।

এদিন তিনি চেতলায় রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেন ফিরহাদ হাকিম। তবে প্রতি বছর এই দিনটি অনেক বড় করে তিনি পালন করে থাকেন। কিন্তু এবছর করোনার জন্য সেইভাবে বড় করে উৎসব পালন করা যায়নি। বরং, এবারের রাখি উৎসবে একটু অন্যরকম ভাবেই দেখা গেল তাঁকে। এদিন তিনি মানুষের হাতে রাখির পরিবর্তে মাস্ক তুলে দেন। ফিরহাদ হাকিমের কথায়, যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দেশ বা রাজ্য চলেছে, তাতে এই মুহূর্তে সবার মাস্কের প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তাই হাতে রাখি পড়াতে না পারলেও হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে সবাইকে তিনি এদিন শুভকামনা জানিয়েছেন। সবার ভালো হোক, সবাই সুস্থ থাকুক, এমনটাই প্রার্থনা করেছেন ফিরহাদ হাকিম।

একইসঙ্গে করোনা আক্রান্ত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেন ফিরহাদ।

Previous articleমঙ্গল-বুধে দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টির পূর্বাভাস, মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কতা জারি
Next articleকেন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অমিত শাহ? প্রশ্ন শশী থারুর