দীর্ঘ অপেক্ষার পর এসেছে ঐতিহাসিক সেই মুহূর্ত। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে অবশেষে সূচনা হলো অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের। যা উপলক্ষ্যে আজ, ৫ অগাস্ট দেশজুড়ে রাম ভক্তদের মধ্যে প্রবল উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহামারি আবহের মধ্যেও এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে উৎসবে মেতে উঠেছেন রাম ভক্তরা। দেশজুড়ে নানা জায়গায় পালিত হয়েছে যজ্ঞ, পুজো-অর্চনা, মিষ্টি বিতরণ, বাজির প্রদর্শন।

করোনা আক্রান্ত না হলে ঐতিহাসিক সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ও সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারতেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তবে ভূমিপুজোয় উপস্থিত থাকতে না পারার আক্ষেপ থাকলেও স্বপ্নপূরণের তৃপ্তি তাঁর মধ্যেও দেখা গিয়েছে।

হাসপাতালের বিছানা থেকেই টুইটে অসুস্থ অমিত শাহ লেখেন, “আজকের দিনটি ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক ও গৌরবান্বিত দিন। ভগবান রামের জন্ম তিথিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে রামলালার মন্দিরের ভূমিপুজো সম্পন্ন হল। যিনি ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির ইতিহাস এক সোনালী অধ্যায় রচনা করেছেন। নব যুগের সূচনা ঘটিয়েছেন।”

অমিত শাহ আরও লেখেন, “ভগবান শ্রী রামের মন্দির নির্মাণ বহু রামভক্ত-এর ত্যাগের ফল। বহু শতাব্দী তপস্যা, ভক্তি, ত্যাগ, সংগ্রাম, লড়াইয়ের প্রতীক এই রাম মন্দির। আজ এমন একটি ঐতিহাসিক দিনে আমি সেই সমস্ত তপস্বীকে প্রণাম জানাই, যাঁরা সনাতন সংস্কৃতির এই অমূল্য ঐতিহ্যের জন্য লড়াই করেছিলেন। জয় শ্রীরাম।”

অমিত শাহর পাশাপাশি এদিন টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা রাজনাথ সিং। টুইটে তিনি লেখেন, “আজ দিনটি প্রতিটি ভারতবাসীর জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল ও খুশির মুহূর্ত। এই মন্দির নির্মাণ শুরু করতে গিয়ে রাম ভক্তরা বহু সংগ্রাম করেছেন। নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাই এই দিনটিতে তাঁদেরকে স্মরণ ও প্রণাম জানানোর দিন। এই ঐতিহাসিক দিনে সকল রাম ভক্তকে আমার তরফ থেকে হার্দিক অভিনন্দন।”

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা লেখেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে আজ রাম ভক্তদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হল”।
