সিপিএম নেতার এই হাল দেখে গোটা চিড়িয়াখানাই হেসে কুটোপাটি হবে৷
যে সে নেতা ইনি নন, দলের সুসময়ের প্রোডাক্ট৷ এক আনাও বিপ্লব করতে হয়নি, অথচ মন্ত্রীও হয়েছেন৷ যখন এই বাংলা সিপিএমের দখলে ছিলো, যখন সব ধরনের নিপীড়ন কাজে লাগিয়ে ‘আমরা ২৩৫’ ছিলো দলের ট্যাগ লাইন, তখন ইনি সিপিএমের “অবিসংবাদী” নেতা ও মন্ত্রী৷ চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলেন৷ ছাত্র-যুব ফ্রন্টে দারুণ প্রভাব ৷ সিপিএমের অন্যতম এই সম্পদের নাম, মানব মুখোপাধ্যায় ৷
তারপর দলের সব জারিজুরি যখন শেষের দিকে, যখন একে একে দেউটি নিভে যাওয়া শুরু হলো, তখন ইনি চলে গেলেন “হোম কোয়ারেন্টাইনে”৷ না, তখনও করোনা দেশে আসেনি, কিন্তু উনি নিভৃতে যাওয়ার কৌশলটা তখন থেকেই জানতেন৷ চলে গেলেন ঘরের কোনে৷
পাছে ক্ষমতাচ্যুত দলকে লড়াইয়ের ময়দানে ফিরিয়ে আনার পরিশ্রম করতে হয়৷ তারপর থেকে এনাকে আর সেভাবে কেউ দেখতেই পান না৷
কিন্তু ইনি আছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, বড়ই সক্রিয়৷ নানারকম মন্তব্য করেন, নিজের সাধ্য অনুযায়ী ৷
বুধবার, ৫ আগস্ট, সকালের দিকেও তিনি অ্যাক্টিভ ছিলেন৷ এদিন হঠাৎ বুদ্ধিটা মোচড় দিয়ে ওঠার পর ফেসবুকে বেশ “চিন্তাপ্রসূত” একটি পোস্ট মারলেন৷ লিখলেন, “আজ আবার প্রমান হল , ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে জাতীয় কংগ্রেসের অবস্থান সুবিধাবাদী অবস্থান৷ সব ধর্মকে উৎসাহ দেওয়া কোন রাজনৈতিক দলের কাজ না। রাজনৈতিক দল কোন ধর্মকে আলাদা করে উৎসাহ দেবে না। এটাই প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা।”
পোস্ট পড়লেই পোস্টদাতার ফোকাস বোঝা যায়৷ বুঝতে অসুবিধা হয়না, মানববাবু এ রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ঘোরতর বিরোধী৷ উনি একা চলার পক্ষে৷ বেশ লাইক-কমেন্ট পেলেন৷
এর পরেই কোনও একটা কাণ্ড নিশ্চিতভাবেই নীরবে ঘটে গিয়েছে৷ কাণ্ড মানে, এই পোস্টের জন্য মানববাবু সিওর আলিমুদ্দিনের ঝাড় খেয়েছেন৷ আরও বেশি কিছুও হতে পারে৷ বলতে পারেন, কী করে জানলেন ? না, কেউ বলেনি ঠিকই, কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ তো তেমনই বলছে৷
কিছুক্ষণের মধ্যেই ধেয়ে এলো মানব মুখোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় একটি পোস্ট৷ কী ভাবছেন, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক পোস্ট ? আরে ছোঃ!
ওনার এই পোস্টটা আগেরটার থেকে ছোট৷ বেশ আবেগঘন৷ তিনি লিখলেন,
“আজকের পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সাথে জোট করেই আমাদের এগোতে হবে।”
নিন, এবার ম্যাও সামলান ! কী বলবেন মানববাবুকে আপনারা ঠিক করুন৷ আমরা শুধু তথ্য-প্রমাণ-সহ ঘটনাটি সামনে এনে দিলাম৷