Tuesday, August 26, 2025

একমো পদ্ধতিতে সুস্থ হলেন ভাইরাস আক্রান্ত যুবক, সাফল্য শহরের চিকিৎসকদের

Date:

Share post:

রক্তে মাত্র ৯ শতাংশ অক্সিজেনের মাত্রা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ১৩১ কিলো ওজনের ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে তুললেন তিলোত্তমার চিকিৎসকরা। ‘এক্সট্রা কর্পোরাল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন’ তথা একমো চিকিৎসা পদ্ধতি ১০০ জন রোগীর ওপর প্রয়োগ করেছেন চিকিৎসকরা। আর তাতেই এশিয়ান জনের রেকর্ড তৈরি হয়েছে। এই সাফল্যের পিছনে রয়েছেন কলকাতার একমো সেন্টারের ডিরেক্টর ডা. কুণাল সরকার এবং তাঁর টিম।

রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের বর্ধমানের জোনের ইঞ্জিনিয়ার ৩৪ বছর বয়সী অতনু দত্ত। ওজন ১৩১ কিলো। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯ শতাংশ। ভেন্টিলেশন দিয়েও ফুসফুস সক্রিয় করা যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরপরই একমো সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। গত ১৫ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত একমোতে ছিলেন অতনু। সেন্টারের কো-ডিরেক্টর ডা. অর্পন চক্রবর্তী জানান, অতনুর চিকিৎসায় ঝুঁকি ছিল। ভাইরাস মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি ২০ কিলো ওজন কমেছে ওই ব্যক্তির।

এক্সট্রা কর্পোরাল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন পদ্ধতিতে বিকল হওয়া ফুসফুস সচল রেখে শরীরে অক্সিজেনের যোগান দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সার্স ও সোয়াইন-ফ্লুর ক্ষেত্রে ফুসফুস ও পার্কে সচল রাখা গিয়েছে এই পদ্ধতিতে। এ বিষয়ে ডা. কুণাল সরকার জানান, ” ভেন্টিলেশন বা আইসিইউতে কিছু সময় নজরে রাখলেই হয়। কিন্তু একমো পদ্ধতিতে ২৪ ঘণ্টা যন্ত্রের উপর নজর রাখতে হয় বিশেষজ্ঞ টিমকে।”

spot_img

Related articles

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...

ধনধান্যে ভরে, মা এসেছে ঘরে: মুখ্যমন্ত্রীর লেখা-সুরে গান এবার দুর্গাপুজোয়

বাংলা ও বাঙালির বড় উৎসব আর পুজোর গান— এক অপূর্ব মেলবন্ধন। এখন দুর্গাপুজোয় মণ্ডপে মণ্ডপে বাজে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা...

প্রধানমন্ত্রী বাংলা ছাড়তেই জীবনকৃষ্ণের গ্রেফতারি তৃণমূলকে অপদস্থ করার চক্রান্ত, তোপ কুণালের      

ইডির (ED) হাতে জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) গ্রেফতারি আসলে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) অপদস্থ করার চক্রান্ত। প্রধানমন্ত্রী বাংলায়...