লকডাউনে মহিলাদের পরিজনের হিংসা থেকে বাঁচাতে নিরন্তর ছুটে চলেছেন তেলেঙ্গানার ‘সুপারকপ’ রাজেশ্বরী

কোন বাড়িতে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ? কোথায় দিনে-রাতে শারীরিক নির্যাতন মুখ বুজে সইছে কমবয়সী মেয়েটা? সারা শরীরে দগদগে ক্ষত নিয়েও প্রতিবাদ করার উপায় নেই কার? লকডাউনে জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নিজের টিম নিয়ে ছুটে চলেছেন পুলিশ সুপার রিমা রাজেশ্বরী। তিনি আর কেউ নয়, তেলঙ্গানার মেহবুবনগরের ‘সুপারকপ’ । লকডাউনের আবহে মহিলাদের গার্হস্থ্য হিংসা থেকে বাঁচানোর গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি । নির্যাতিতাদের উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয় পৌঁছে দেওয়ায় তাঁর দায়িত্ব।
নিজের টিম নিয়ে তিনি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। এমন কোনও নারী নির্যাতনের খবর পেলেই সেখানে পৌঁছে যাচ্ছেন নিমেষে। পুলিশ সুপার বলেছেন, গত দু’সপ্তাহে গার্হস্থ্য হিংসা , যৌন নিগ্রহের ৪০টি ঘটনার খবর পেয়েছেন তাঁরা। উদ্ধার করা হয়েছে সেই মহিলাদের। অনেককেই নিরাপদ আশ্রয়ও দেওয়া হয়েছে।
তাঁর স্পষ্ট কথা, লকডাউনের আগে কিছু সময়ের প্রস্তুতিপর্ব দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে অন্তত কিছু মেয়ে তাদের সুরক্ষিত জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার সময় পেত। এখন প্রশাসনের এই ভ্রান্তিরই খেসারত দিতে হচ্ছে! একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অধিকাংশ মহিলার ধারণা যে, লকডাউনের সময় পুলিশ এসব বিষয়ে মাথা ঘামাতে চাইবে না, কিন্তু এমন ধারণা ভুল। কোনওরকম গার্হস্থ্য হিংসার আঁচ পেলেই স্থানীয় পুলিশকে নির্ভয়ে জানানো হোক, এমন অভয় দিয়েছেন তিনি।

Previous articleপ্রকাশিত রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল, এক নজরে দেখে নিন মেধাতালিকা…
Next articleদেব কাকে তাঁর রাজনীতির শিক্ষক বললেন?