মালদায় গণি খান মিথ আগেই ভেঙেছে। প্রয়াত কংগ্রেস নেতার ভাগ্নি মৌসম বেনজির নূর এখন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ। এছাড়াও অনেক নেতা-কর্মী কংগ্রেসের হাত ছেড়ে আগেই ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। ফের একবার কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন ধরলো তৃণমূল। আজ, মঙ্গলবার জেলাস্তরের বেশকিছু নেতা তাঁদের কয়েকশো অনুগামী নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।
আজ, মঙ্গলবার মালদহের কালিয়াচক থানার বামনগ্রাম-মোসিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দরগাপাড়া এলাকায় কংগ্রেস দল ছেড়ে শতাধিক নেতাকর্মীর যোগদান করল তৃণমূলে। মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোডিনেটর অম্লান ভাদুড়ির উদ্যোগেই এই দলবদল। যোগদানকারীদের মধ্যে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতেড়র কংগ্রেসের দুই পঞ্চায়েত সদস্যও রয়েছেন। তাঁদের হাতে তৃণমূলের ঝাণ্ডা তুলে দেন জেলা তৃণমূলের কোডিনেটর অম্লান ভাদুড়ি।

কংগ্রেস দল ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগদানের পর বামনগ্রাম- মোসিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেস করে ন্যূনতম সম্মানটুকু মেলেনি। তাই তৃণমূলে যোগদানের সিদ্ধান্ত। এখন থেকে আমরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় উন্নয়নের কাজে সামিল হতে চাই। তিনি গরীব খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে থেকে নানান সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। কংগ্রেসের থেকে এলাকার ন্যূনতম কাজটুকু আমরা করতে পারছি না।”

উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে গত ২১ জুলাই ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাঁরা দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের ফের তৃণমূলে ফেরার ডাক দেন। একইসঙ্গে তিনি অন্য দলের নেতা-কর্মীদেরও তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে ঘাসফুল যোগ দেওয়ার হিড়িক লেগে যায়।



