একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের শক্তি বাড়িয়ে ঘরে ফিরলেন দাপুটে নেত্রী

প্রতীকী ছবি

পাখির চোখ একুশের বিধানসভা নির্বাচন। তাই করোনা আবহের মধ্যেই নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত রাজ্যের সমস্ত প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি। আর এই কাজে সবচেয়ে এগিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেদের শক্তি বাড়াতে একের পর এক বিরোধী উইকেট ফেলছে ঘাসফুল শিবির।

ম্যাজিকটা শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বয়ং। গত ২১ জুলাই তৃণমূলের ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে অন্য দলের নেতা-কর্মীদের তাঁর দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান করেছিলেন তিনি। একইসঙ্গে পরিবর্তনের সৈনিক, দলের পুরোনো দিনের অবহেলিত নেতাদের সম্মানজনক জায়গায় ফিরিয়ে আনার কথা দিয়েছিলেন তিনি। এবং যাঁরা ভুল বুঝে অন্য দলে নাম লিখিয়েছিলেন, তাঁদেরকেও কাছে করে নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন নেত্রী। আর তারপর থেকেই দলবদলে একের পর এক চমক দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাপুটে নেত্রী হেমা চৌবে। তিনি বামপন্থী শরিক দল সিপিআইয়ের প্রাক্তন সংসদ নারায়ণ চৌবের পুত্রবধূ। ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে পাঁশকুড়া কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হেমা চৌবে লড়াইয়ে নামেন। যদিও তিনি হেরে যান সিপিআই-এর হেভিওয়েট প্রার্থী প্রয়াত গুরুদাস দাশগুপ্ত-এর কাছে। এরপর থেকে কোনও অজ্ঞাত কারণে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় হেমাদেবীর। তবে তিনি সক্রিয় রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেননি। যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসে।

২০১১-সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের ঐতিহাসিক বছরে তিনি তৃণমূল-কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা সুশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে গড়বেতা কেন্দ্র থেকে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। সেবারও হেরে গেলেও রাজনীতির ময়দান থেকে পালিয়ে যাননি হেমা চৌবে। বুক চিতিয়ে লড়াই করে গেছেন। কংগ্রেসের হাত ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী ছিলেন। একইসঙ্গে এআইসিসি সদস্যপদও পেয়েছিলেন তিনি।

দাপুটে নেত্রী বলে পরিচিত হেমা চৌবে ফের একবার তৃণমূলে ফিরলেন তাঁর কয়েকশো অনুগামী নিয়ে। ঘরে ফেরা অনুষ্ঠানে হেমা চৌবের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অজিত মাইতি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক প্রদীপ সরকার, রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এবং জেলা তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে অন্যতম নির্মল ঘোষ-দেবাশিস চৌধুরী-সহ আরও অনেকে। ঘরের মেয়েকে ঘরে ফিরিয়ে খুশি সকলে।

Previous articleস্বাধীনতা দিবসের আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে জঙ্গি হামলায় শহিদ দুই পুলিশ কর্মী
Next articleরাজ্যে কোভিড-মুক্তদের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটের নয়া গাইডলাইন