আজ আরও একটি ১৫ অগাস্ট। আরও একটি স্বাধীনতা দিবস। দেশজুড়ে পালিত হলো ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস। ইংরেজ ঔপনিবেশিক অত্যাচারী শাসকের হাত থেকে দেশেরবপরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে এই দিনেই স্বাধীন হয়েছিল দেশবাসী। এবার করোনা মহামারির মধ্য দিয়েই দেশবাসী উদযাপন করেছে স্বাধীনতা দিবস। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরেও কিছু প্রশ্ন আজও আমাদের মনকে নাড়িয়ে দেয়। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, আমরা কি সত্যিই স্বাধীন হতে পেরেছি?

স্বাধীনতা দিবসের দিন ফের একবার এমনই প্রশ্ন উস্কে দিলেন টলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী তথা যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। অভিনেত্রী তাঁর ইন্ডিপেনডেন্স-ডে স্পেশ্যাল ভিডিও বার্তায় স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ খোঁজার চেষ্টা করলেন। স্বাধীনতা দিবস পালন করলেই কি স্বাধীন হওয়া যায়? স্বাধীনতা কি সত্যি আমারা পেয়েছি? মিমির ভিডিও বার্তায় এমনই প্রশ্নগুলি ঘুরপাক খাচ্ছে।

করোনা মোকাবিলায় লকডাউন পর্বে করোনা-যোদ্ধাদের অনেক ক্ষেত্রে সমাজ যেভাবে ব্রাত্য করবার চেষ্টা করেছে, সমাজ যেভাবে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের এখনও মন থেকে গ্রহণ করতে পারেনি কিংবা আজও বিভিন্ন পেশায় লিঙ্গবৈষম্যের নজির চোখে পড়ে-সেই সব কথাই উঠে এল মিমির এই বিশেষ ভিডিওতে।

সমাজ সচেতন অভিনেত্রীর কথায়, “আসলে আমাদের চারপাশের বিভিন্ন স্বাধীনতার সাথে সাথে আরও একরকমের স্বাধীনতা ভীষণভাবে জড়িয়ে। সেটা হল চিন্তা-ভাবনার স্বাধীনতা। আসুন না আমরা সবাই মিলে স্বাধীনতার আসল মানেটা খুঁজে বার করি।”

আসলে মিমি তুলে ধরতে চেয়েছেন, স্বাধীন ভারতের স্বাধীন নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের বিষয়টি। যেখানে রুটি-কাপড়-মকানের পাশাপাশি শিক্ষা-স্বাস্থ্যের অধিকার পাবে প্রতিটি দেশবাসী। যেখানে সমাজে সবার সমানভাবে বাঁচবার অধিকার থাকে, ভালোবাসবার অধিকার থাকে। এমন সমাজ আমরা গড়তে পারি যেখানে পথকুকুর কিংবা পশুদের খাবার দেওয়াটা আদিখ্যেতা মনে না হয়। মেয়েদের রিক্সা চালানোটা বাঁকা চোখে না দেখা হয়। তৃতীয়লিঙ্গের মানুষদের ভালোবাসার সমান মর্যাদা দেওয়া হয়।

তাই প্রাচীন ভাবনাগুলোকে মুক্তি দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে উদার মানসিকতা নিয়ে। তাহলেই প্রকৃত স্বার্থকতা পাবে আমাদের স্বাধীনতা বা স্বাধীনতা দিবস।
