থাকছে না দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়, কৌশিকী অমাবস্যাতে ফাঁকা তারাপীঠ

আজ কৌশিকী অমাবস্যাতে ফাঁকা তারাপীঠ। তারাপীঠ মানেই জনতার ভিড়। মা তারার দর্শনে লক্ষ্য লক্ষ্য দর্শনার্থীর জমায়েত। আর তারপর যদি হয় কৌশিকী আমাবস্য, তাহলে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় তারাপীঠ মন্দির চত্বরে। তবে এ বছরে কৌশিকী আমাবস্যার দিন ভাটা পড়েছে মায়ের মন্দিরে। কারণ মহামারি। কৌশিকী অমাবস্যায় বন্ধ রয়েছে তারাপীঠ মন্দির। মহামারির জেরে ভক্ত সমাগম ঠেকাতে ১২ অগাস্ট থেকে ২০ অগাস্ট মন্দির বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

মন্দিরে শুধুমাত্র সেবায়েতরা প্রবেশ করবেন। মহামারির কারণে পূণ্যার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না এ বছর। বিগত দেড় দশক ধরে এই কৌশিকী অমাবস্যায় কার্যত বাঁধ ভাঙা মানুষের ভিড় হয় তারাপীঠ মন্দিরে। কোনও কোনও বছর ২ লক্ষ মানুষ পর্যন্ত আসেন পুজো দিতে। তবে এ বছর সেই প্রথায় ছেদ পড়ছে।

কথিত আছে এই দিনটিতেই তারাপীঠের মহাশ্মশানে সাধক বামদেব মা তারার দর্শন পেয়েছিলেন। সাধক বামদেব সিদ্ধিলাভও করেন। তাই এইদিন তারাপীঠে প্রতিবছর বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯ টা ৪৬ মিনিট থেকে বুধবার সকাল ৮ টা ২২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে অমাবস্যা তিথি।

প্রতিবছর তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যায় ভিড় সামাল দিতে কার্যত হিমসিম খেতে হয় বীরভূম জেলা পুলিশ প্রশাসনকে। বিগত বছরগুলিতে অমাবস্যার প্রায় এক সপ্তাহ আগেই সেখানকার হোটেল ও লজগুলিতে পা রাখার জায়গা থাকত না। দেশের নানা প্রান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী ছুটে আসেন।

এবছর দর্শনার্থীদের সমাগম হল এই সংক্রমণ ছড়াবার কথা বুঝতে পেরে বীরভূম জেলা পুলিশ প্রশাসনের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, এ বছর ভক্তদের ছাড়া কৌশিকী অমাবস্যা পালন হবে এটা খুব কষ্টের। মা তারার পুজো নিয়ম এবং রীতি মেনেই হবে। কৌশিকী আমাবস্যাতে মন্দিরে শুধু সেবায়েতরা প্রবেশ করতে পারবে।

Previous articleকংগ্রেস জানে না বাবরি মসজিদের তালা কে খুলেছিল, কটাক্ষ সিন্ধিয়ার
Next articleআজই এবারের আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ঘোষণা করতে পারে বিসিসিআই