পশ্চিম আফ্রিকার মালিতে সেনা অভ্যুত্থানের জেরে ভেঙে গেল নির্বাচিত সরকার। বিদ্রোহী সেনাদের হাতে বন্দি হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা করেছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। অভ্যুত্থানের পর আফ্রিকার মালিতে এখন অরাজকতা চরমে। এই সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে আফ্রিকা ও ইউরোপের বহু দেশ। নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সরাতে অভ্যুত্থান ও বন্দি করার তীব্র সমালোচনা করে ফ্রান্স বলেছে, শান্তি ফেরাতে তারা মধ্যস্থতা করতে রাজি।

অভ্যুত্থানের আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা। গত কয়েক মাস ধরেই দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থা ও বিভিন্ন গোষ্ঠী সংঘর্ষে জনরোষ বাড়ছিল। সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে মতভেদও চরমে ওঠে। সেনাবাহিনীর বেতন- ভাতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের পাশাপাশি জেহাদিরাও চাইছিল সরকারকে সরাতে। বিদ্রোহী সেনারা রাজধানীতে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে ট্যাঙ্ক নিয়ে হাজির হয়। এরপরই রক্তপাত এড়াতে পদত্যাগের ঘোষণা করেন মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা। সেই সঙ্গে মালির পার্লামেন্টও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। মালির জাতীয় টেলিভিশন অভ্যুত্থান ও সরকার ভাঙার তথ্য নিশ্চিত করেছে। ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন কেইতা। তবে মালিতে দুর্নীতি, অর্থনৈতিক অব্যবস্থা এবং সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের কারণে জনরোষের মুখে পড়েন তিনি । বিদ্রোহী সেনারা মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা এবং প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসেকে রাজধানীর সেনা ছাউনিতে আটকে রেখেছে।
