মায়ের দুধ খেতে দুই ছানার ঠেলাঠেলি, তৃতীয়কে চেটেপুটে সাফ করছে শীলা

কিশোর সাহা

দুই ছানা মায়ের দুধ খেতে ঠেলাঠেলি করে চলেছে। তৃতীয় জনকে চেটেপুটে সাফ রাখতেই ব্যস্ত মা-শীলা। এমন মনকাড়া ছবি দেখা যাচ্ছে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে। বৃহস্পতিবার লকডাউনের দিনে তিন ছানাকে নিয়ে নিস্তরঙ্গ সাফারি পার্কে দারুণ কাটাল শীলা। ওদের বাবা বিভান অবশ্য পাশের এনক্লোজারে রয়েছে ছানাদের জন্মের আগে থেকেই। কিন্তু, তিন ছানাকে নিয়ে শীলার খুনসুটি, জীবনযাপন ভিডিওতে তুলে রাখতে এতটুকুও দেরি করেনি কর্তৃপক্ষ।

ঘটনা হল, প্রায় ১২০ দিন আগে শীলা যখন যৌনসঙ্গমের জন্য তেতে উঠেছিল সে সময়েই কর্তৃপক্ষ সতর্ক হয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে, তার কয়েক মাস আগে থেকেই পাশের খাঁচায় বিভানকে রাখা হয়েছিল। দুজনে দুজনকে দেখে শত্রুতামূলক আচরণ করেনি। একে অন্যকে দেখে গর্জন করেনি। বরং, দুজনের মধ্যে একটা প্রীতির সম্পর্ক খেয়াল করেছিলেন সাফারি কর্তৃপক্ষ। এর পরে বিভানকে শীলার খাঁচায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রায় দিন দশেক দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়।
সাফারি পার্কের এক কর্তা জানান, সাধারণত, যৌনসম্পর্কে তৃপ্ত হলে স্ত্রী বাঘ পুরুষ বাঘকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এখানেও শীলা বিভানকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এর পরে বিভানকে ফের আলাদা করে দেওয়া হয়। শীলা কিছুদিনের মধ্যে গর্ভবতী হয়ে পড়ে।
সেটা কীভাবে বোঝা যায়! স্ত্রী বাঘের রোজকার খাবারের পরিমাণ বেড়ে যায়। অন্তত, ৭-৮ কেজি মাংস বেশি খেতে শুরু করে গর্ভবতী বাঘ। সেই মতো লক্ষ্য রাখা শুরু হয়। ১১০-১২০ দিনের মাথায় শীলা তিন ছানার জন্ম দেয়।

সেই ছানারা এখন বেঙ্গল সাফারি আলোকিত করে রেখেছে। লকডাউনেও ছানাদের কাণ্ডকারখানা দেখে জনমানবহীন ভাবে থাকার কথা ভুলে গিয়েছেন কর্মীরা। দুই ছানা কখনও মায়ের দুধ খাওয়ার জন্য ধস্তাধস্তি করছে। আবার তৃতীয় ছানাকে মা চেটেপুটে সাফ রাখার চেষ্টা করছে। এভাবেই আরও অন্তত মাস তিনেক চলবে। ছ’মাস গেলে ছানারা মায়ের দুধ খাওয়া ছাড়তে পারে।
এখন তো কচি তারা, কথা ফোটে নাই….

Previous articleআনন্দের সঙ্গে শাস্তি গ্রহণ করবো, বললেন প্রশান্ত ভূষণ, বিবৃতি পুনর্বিবেচনায় 2 দিন সময় দিলো সুপ্রিম কোর্ট
Next articleবিমানবন্দরের বেসরকারিকরণের বিরোধিতা রাজ্যের, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর