বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত তাজপুর থেকে শঙ্করপুর, সমুদ্র বাঁধ ভেঙে ঢুকছে জল!

নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টি। কোথাও সমুদ্রবাঁধ, কোথাও নদীবাঁধ ভেঙে এলাকায় ঢুকল জল। আর তাতে দুর্ভোগে পড়লেন বহু মানুষ। মাত্র দু’সপ্তাহের ব্যবধানে দু-দু’বার সমুদ্র বাঁধ ভাঙল তাজপুরে। তাজপুর থেকে শঙ্করপুর পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের একাধিক জায়গায় ফাটল তৈরি হয়েছে। ওই ফাটল দিয়েই শুক্রবার সকালে জোয়ার চলাকালীন বঙ্গোপসাগরের নোনাজলে জলমগ্ন রামনগর-১ ব্লকের তালগাছাড়ি-২ পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম। পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগোচ্ছে বুঝে বেশ কয়েকটি পরিবারকে স্থানীয় আয়লা কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে নিম্নচাপ। ইতিমধ্যেই আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। নিম্নচাপের জেরে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। এরই পাশাপাশি বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুরে বুধ ও বৃহস্পতিবার দু’দিনে প্রায় ১২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। একটানা বৃষ্টিতে ও অমাবস্যার ভরা কোটালে রূপনারায়ণের জল ঢুকেছে তমলুক শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণচড়া শঙ্করআড়া এলাকায়। জলমগ্ন কোলাঘাট পুরাতন বাজার এবং তিনটি গ্রাম— কোলা, পাইকপাড়ি এবং সাহাপুরের একাংশ। কোথায় এক হাঁটু, তো কোথাও এক কোমর জল। অভিযোগ, কোলাঘাটে একটি স্লুইস গেটের দরজা খারাপ থাকায় জল ঢুকেছে। সেচ এবং পূর্ত দফতর স্লুইস গেট মেরামত করছে। কোলাঘাটে রূপনারায়ণের বাঁধেও দু’জায়গায় ফাটল ধরেছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ১ ব্লকে আবার অতি বর্ষণে জল বেড়েছে শিলাবতীর। ডুবেছে গনগনির কাঠের সাঁকো। যাতায়াতে অসুবিধায় পড়েছেন আগরা পঞ্চায়েতের ৫-৬টি গ্রামের মানুষ।এদিকে, টানা বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষও। শিলাবতী নদীর জলস্তর পৌঁছেছে বিপদসীমার ওপরে। যে কোনও মুহূর্তে নদীর বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমিতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল। প্রায় ১০-১২ টি গ্রামের মানুষ সমস্যায় পড়েছেন।