অর্জুন সিংয়ের মত ডাকসাইটে নেতার দুর্গে রাজ্য পুলিশ ঢুকে তল্লাশি চালালো। বন্ধ দরজা ভেঙে ঢোকার সক্রিয়তা দেখালো পুলিশ।

অথচ মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ৪৯টি মামলা থাকলেও নিষ্ক্রিয় পুলিশ। কিছু মামলায় গ্রেপ্তার না হওয়ার আইনি রক্ষাকবচ মুকুলের আছে। কিন্তু কোনো থানা কোনো তদন্তে এখন জিজ্ঞাসাবাদের নোটিশও পাঠাচ্ছে না।


বিজেপির অন্দরমহলেই এনিয়ে জোর চর্চা চলছে। বৈপরীত্য নিয়ে গুঞ্জন তুঙ্গে। অর্জুনপন্থী শিবির এনিয়ে ক্ষুব্ধও বটে। এই শিবিরের এক নেতা বলেন,” কে লড়ছে আর কে লড়াইয়ের ভান করে দিল্লির পদ নেওয়ার জন্য লালায়িত, সবাই বুঝতে পারছে। অর্জুন দুকুল রেখে চললে এই কথা পরিণতি হত না।” সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসুদের সঙ্গে আলোচনাতেও বিষয়টিতে দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এক নেতা। দিলীপবাবু নাকি বলেছেন,” অনেকরকম কথাই তো শুনছি। দেখা যাক।”

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, মুকুলবাবুর মামলাগুলির তদন্তের সব নথি প্রস্তুত আছে। প্রক্রিয়াটি আপাতত গতিহীন।
অন্যদিকে ইডির চিঠি পেয়ে তুমুল চাপে আছেন মুকুল। নারদ তদন্ত সংক্রান্ত চিঠি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি।
অসমর্থিত সূত্রে খবর মূলত এই চিঠির চাপেই “বিকল্প” সিদ্ধান্তে হোঁচট খাচ্ছেন মুকুল রায়।
এদিকে বিজেপিতে তাঁর বড় পদ পাওয়ার গল্প এখনও অথৈ জলে। কৈলাস একদিন সঙ্গে করে দিলীপের বাড়ির বৈঠকে তাঁকে নিয়ে গেলেও আদতে রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে তেমন সাড়া নেই। আপাতত চোখ নিয়ে একটু ব্যস্ত মুকুল।


কিন্তু অর্জুনের ক্ষেত্রে পুলিশ সক্রিয় হলেও কোন্ জাদুতে মুকুলের ৪৯টি মামলায় রুটিন জিজ্ঞাসাবাদের নোটিসটুকুও যাচ্ছে না, তা নিয়ে গুঞ্জন বাড়ছে।
