রাত পোহালে পুজো, গণেশ মূর্তি বিক্রি না হওয়ায় হতাশ মৃৎশিল্পীরা

রাত পোহালে গণেশ পুজো। অথচ লকডাউনের গেরোয় মূর্তি বিক্রি প্রায় বন্ধ। ফলে, মাথায় হাত পড়েছে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার মৃৎশিল্পীদের। রাধারানি পাল, শ্রাবণ কুম্ভকার, রমেন পাল, নরেশ পালদের মতো মৃৎশিল্পীরা অনেকেই জানান, চলতি বছরে পয়লা বৈশাখে যে ক্ষতির সূচনা হয়েছে তার ধারাবাহিকতা চলছেই। গণেশ পুজোর সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ভেবেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, তা হল না। তাই মাথায় হাত পড়েছে প্রায় সব মৃৎশিল্পীরই।

শুক্রবার শিলিগুড়ির বিধান রোডে মূর্তি সাজিয়ে বসেছিলেন কয়েকজন। লকডাউন বলে গণেশ পুজো একেবারেই হবে না তা ভাবতে পারেননি অনেকে। সে জন্য অনেক আশা নিয়ে মূর্তি নিয়ে বসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, সন্ধে পর্যন্ত অধিকাংশ বিক্রেতার অভিজ্ঞতা করুণ। একজন জানান, প্রায় ১০০ টাকা খরচ করে মূর্তি এনে বসে থেকেও এক টাকাও বিক্রি হয়নি। অবশ্য এবার গণেশ পুজো তো প্রায় হচ্ছেই না। যাও বা হবে তাও নমো নমো করে। যেমন শিলিগুড়ি পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কথা ধরা যাক। সেখানে ফি বছর ৫টি গণেশ পুজো মহা সমারোহে হয়। এবার বিদায়ী কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের শ্রাবণী দত্ত নিজে একটি পুজো কোনমতে হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি চিঠি লিখে মহকুমাশাসককে জানিয়ে গিয়েছেন, বাকি চারটি পুজোর অনুমতি তিনি দেননি। এমনকী, গণেশ পুজো যে হবে তাও সংক্ষিপ্তভাবে করতে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।

বস্তুত, ফি বছর শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের আট জেলায় অন্তত ২০০টি জায়গায় বড় মাপের গণেশ পুজো হয়। এবার সাকুল্যে ২০টি জায়গায় নমো নমো করে হবে বলে শোনা যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, করোনা বিধি মেনে পুজো হলে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু, অহেতুক ভিড় হলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলে উত্তরবঙ্গের সব জেলার পুলিশের তরফে উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।