‘২০২১-এ তৃণমূলকে উৎখাত করে সরকার গড়বে বিজেপি’, শহরে পা রেখেই সরব তথাগত রায়

“বাংলায় বিজেপির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। ২০২১-এ বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করে সরকার গড়বে বিজেপি।”

রবিবার শিলং থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখেই মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় এই আশাপ্রকাশ করেছেন৷ বিমানবন্দরেই তিনি স্পষ্ট করেছেন, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই আবার বঙ্গ বিজেপিতে সক্রিয়ভাবে ফিরছেন। বঙ্গ-বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও দলের পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। প্রত্যেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।বাংলায় দলের সকলেই তাঁকে স্বাগত জানাবেন বলে আশাবাদী তথাগত রায়।

এদিন তথাগত রায়কে ফুল-মালা দিয়ে স্বাগত জানাতে রাজ্য বিজেপির কিছু নেতা-কর্মী বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন৷ ফেস্টুন নিয়েও অনেকে আসেন। তাতে লেখা ছিল ‘বঙ্গ রাজনীতিতে স্বাগত তথাগত রায়’। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায় যে ফের রাজনীতিতে যোগ দিতে আগ্রহী, সেকথা তিনি শিলংয়ে বসেই জানিয়েছিলেন। এদিন কলকাতায় পা রেখেও একই কথা বলেন৷

প্রাক্তণ রাজ্যপাল তথাগত রায় এদিন বলেছেন, দু-একদিনের মধ্যেই দিলীপ ঘোষ-সহ অন্যান্য রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। বিমানবন্দরেই রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত যে কোনও দলেই বিতর্ক হতে বাধ্য। এই বিতর্ক ছাড়া দলে গণতন্ত্র থাকবে না।”
শাসক তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিজেপিতে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র আছে বলেই আমরা বিতর্কের মধ্যে ঠিক করি কে একটা জায়গায় যাবে। তার জন্য আমরা রক্তপাত করি না।”

 

রাজ্যপাল হিসেবে মেয়াদ শেষে এবার ফের সক্রিয় রাজনীতি পা রাখছেন তথাগত রায় । তিনি দাবি করেছেন, তাঁর দলে ফের সক্রিয় হওয়ার বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন পর আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই বিজেপির রাজ্য দপ্তরে যাবেন তথাগত রায়।

ওদিকে, রবিবার রাতেই তথাগত রায় এক টুইটে তৃণমূলের সমালোচনা করে বলেছেন,” বিমানবন্দর দিয়ে এত নেতা আসেন এত নেতা যান৷ আমি বেচারা সামান্য লোক, এখনো বিজেপিতে যোগ দিইও নি,আমার পিছনে মুলোর দল হাত ধুয়ে লেগে পড়ল কেন? আর এক মুলো নেতা বলছেন আমি নাকি শিক্ষিত লোক হয়েও অনৈতিক কাজ করেছি। কি জ্বালা! এই নেতা কি অর্জুন সিং,শীলা দীক্ষিত, মতিলাল ভোরার নাম শোনেন নি?”

প্রসঙ্গত, মেঘালয়ের প্রাক্তণ রাজ্যপাল তথাগতবাবু ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বঙ্গ বিজেপির সভাপতি ছিলেন। প্রায় ৯ বছর বিজেপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্ষীয়ান এই নেতা ফের বাংলার রাজনীতিতে সক্রিয় হলে, একুশের আগে বঙ্গ বিজেপির শক্তি বাড়বে বলে নেতাদের একাংশের দাবি। তবে দলে সক্রিয় হলেও তাঁর ঠিক কী ভূমিকা হবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা এই মুহুর্তে একাধিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত৷ রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, রাজ্য দলের সব গোষ্ঠীই তাঁকে স্বাগত জানাবে, তথাগত রায় এমন দাবি করলেও, তিনিও জানেন এই মুহুর্তে বিষয়টি ততখানি জলবৎ নয়৷ নির্বাচনের মুখে রাজ্য বিজেপিতে সক্রিয় হতে চাওয়া তথাগত রায় দলে ঠিক কতখানি ‘স্পেস’ পাচ্ছেন, সেটাই এখন দেখার৷

Previous articleশুধু পুঁথিগত বিদ্যা নয় হাতে কলমে শিক্ষাই পথ, দিশা দেখাচ্ছে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ