রাজ্যজুড়ে ফের মমতা-ম্যাজিক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড় থেকে জঙ্গল কিংবা শহর থেকে সাগর বিরোধী শিবিরে ফাটল ধরিয়ে একের পর এক কর্মী-সমর্থক যোগ দিচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরে। গত ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের ভার্চুয়াল শহিদ দিবস সমাবেশ থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য দলের নেতাকর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেসের আসার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন। মমতার সেই ছোট্ট একটি বক্তব্য রাজ্যজুড়ে ম্যাজিকের কাজ করছে। তারই অঙ্গ হিসাবে ফের উত্তরবঙ্গে বড়সড় ভাঙনের মুখে প্রধান বিরোধী শক্তি বিজেপি।

এবার মালদার ইংরেজবাজারে বিজেপি ছেড়ে দলে দলে কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। দলবদলের এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি ছেড়ে আসা সকল কর্মী-সমর্থকদের স্বাগত জানান। আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলের যোগদানের সময় তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকার। এছাড়াও হাজির ছিলেন জেলার দুই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর আলম এবং গুমানি শেখ।

গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য চৈতন্য মাল। তাঁর সঙ্গে প্রায় ৩০০ জন বিজেপির সক্রিয় কর্মী-সমর্থক তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। তাঁরা প্রত্যেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন।