ভারতে মহামারির প্রতিষেধক তৈরির যে গুজব রটছে তা আটকাতে চেষ্টা করছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট। দেশে ‘কোভিশিল্ড’এর দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ঘিরে ক্রমশ চড়ছে প্রত্যাশার পারদ। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ভারতে অক্সফোর্ডের করোনা প্রতিষেধকের মানবদেহে চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হবে বলে জানা যাচ্ছে এই ইনস্টিটিউটের তরফ থেকে।

এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদার পুনাওয়ালা একটি টুইট করেন। লেখেন, “আর দুটো মাস ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। ট্রায়ালের মাঝে এখনই ভ্যাকসিন নিয়ে অর্ধসত্য এবং ধৈর্যহীন প্রচার করা ঠিক নয়। ট্রায়ালের অন্তর্বর্তী ফলাফল নিয়ে এতরকম ভিত্তিহীন জল্পনা ও চর্চা গোটা পরীক্ষা পর্বের ক্ষতি করবে। এটা উচিত নয়। ট্রায়াল সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দ্রুত জানানো হবে।”

প্রসঙ্গত, ৭৩ দিনে ‘কোভিশিল্ড’ বাজারে আসার গুজব ছড়িয়েছিল। এমন প্রচারের ফলে লাভের বদলে ক্ষতির আশঙ্কার কথা বলছেন সেরামের সিইও।

ভারতে কোভিড প্রতিরোধে তিনটি ভ্যাকসিন এখন পরীক্ষার স্তরে রয়েছে। ভারত বায়োটেক, ক্যাডিলা এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের তিনটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষার দিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ভারতবাসী। তার মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘কোভিশিল্ড’ প্রতিষেধক অনেকটাই এগিয়ে। এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ট্রায়াল একসঙ্গেই শুরু হয়েছে ভারতে।

জানা যাচ্ছে, বুধবার পুনের ভারতী বিদ্যাপীঠ মেডিক্যাল কলেজে দু’জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে খবর। দেশের ১৭টি জোনে ১৬০০ জনের উপর এই ভ্যাকসিনের দুই দফার পরীক্ষা করবে সেরাম ইনস্টিটিউট।
