জিএসটির ঘাটতি পূরণে রাজ্যগুলিকে ফের ঋণ নেওয়ার কথা শোনাল কেন্দ্র

জিএসটি বাবদ রাজ্যের আর্থিক ক্ষতিপূরণের দায় ঝেড়ে ফেললো কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে নিজেদের ক্ষতি সামলাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ কথা বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। চলতি অর্থবর্ষে জিএসটি ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে দুটি বিকল্প দিল জিএসটি কাউন্সিল। সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্যগুলিকে সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল। রাজ্যগুলির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জেনে কেন্দ্র রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে অনুরোধ করবে ঋণ গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ করার কথা।

লকডাউনের জেরে জিএসটি সংগ্রহ তলানিতে ঠেকেছে। চলতি আর্থিক বছরে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতির সম্ভাবনা। এই কারণেই ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব কেন্দ্রের। রয়েছে কেন্দ্রের দুটি বিকল্প।

▪️ প্রথম বিকল্প হিসেবে রাজস্ব সচিব জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকে একটি বিশেষ সময়সীমা দেওয়া হবে। তারমধ্যে ঠিকঠাক সুদের হারে ৯৭,০০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার সুযোগ মিলবে। সেস আদায় থেকে পাঁচ বছরে (জিএসটি চালুর পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২২) সেই অর্থ মিটিয়ে দেওয়া যাবে।

▪️দ্বিতীয় বিকল্প, যত ক্ষতি হয়েছে সবটাই (২ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকা) এখন রাজ্য ঋণ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। আগামী দিনে সংগৃহীত জিএসটি সেস থেকে সেই ঋণ মেটাতে হবে।

এরপর কেন্দ্রর ঋণ-বিকল্প নিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে কথা বলেন নির্মলা সীতারামন। তিনি জানান, “বিকল্পের বিষয়ে ভাবনাচিন্তার জন্য রাজ্যগুলি আমাদের থেকে সাতটি কাজের দিন চেয়েছে। শুধুমাত্র চলতি আর্থিক বছরেই সেই বিকল্প মিলবে। পরের বছর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। আমাদের খুব শীঘ্রই একটা জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হতে পারে।’

বৃহস্পতিবার জিএসটি কাউন্সিলের পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে ৮টি রাজ্য আওয়াজ তোলে। পাঞ্জাব, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড সকলের এক কথা শোনা যায়। তাদের বক্তব্য, আমরা কেন ঋণ করব? কেন্দ্র করুক। রাজ্যের রাজকোষ তো এমনিতেই খালি! আর নতুন করে ঋণ নেওয়ার অর্থ, আবার পরিশোধের জালে জড়িয়ে যাওয়া।

Previous articleবেনজির! মসজিদে হল ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড ক্লিনিক’, ৫ লক্ষ দুঃস্থ মানুষ পাবেন বিনামূল্যে চিকিৎসা
Next articleকরোনা আক্রান্ত পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর বাবা প্রয়াত