অভিনব আবিষ্কার খড়গপুর আইআইটির: ইনঞ্জেকশনের জন্য আর প্রয়োজন হবে না সিরিঞ্জ!

ইনঞ্জেকশনে ভয় রয়েছে অনেকেরই । ছোট থেকে বড় ইনজেকশনের সিরিঞ্জ দেখলেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় । কিন্তু আর ইনজেকশনের জন্য কোনও সিরিঞ্জ এর প্রয়োজন হবে না। খড়গপুর আইআইটির গবেষক আবিষ্কার করেছেন মাইক্রোনিডিল। এর পাশাপাশি যাতে এর মাধ্যমে ওষুধ ঠেলে আমাদের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া যায় তার জন্য বানিয়ে ফেলেছেন মাইক্রো পাম্পও। যার ফলে ইঞ্জেকশন বা কোনও ভ্যাকসিন নিতে গেলে যন্ত্রণা অনুভব করবেন না রোগী।

ভারতে প্রথম এই ধরনের মাইক্রোনিডল বানিয়ে ফেলা সম্ভব হল। গবেষকদের দাবি এই ধরনের সূক্ষ্ম মাইক্রোনিডল এর আগে এই দেশে বানানো হয়নি।
এই দুই যন্ত্রের আবিষ্কার করেছেন খড়গপুর আইআইটি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইলেকট্রিক কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ গবেষক অধ্যাপক তরুণ কান্তি ভট্টাচার্য্য। এই গবেষণা পত্রটি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল ‘নেচার’এবং ‘আইইইই’ তে। গবেষণাটি হয়েছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ও ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি  মন্ত্রকের আর্থিক সহায়তায়। এই আবিষ্কার প্রসঙ্গে গবেষক তরুণ কান্তি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, গত সাত বছর ধরে এই গবেষণাটি চলছিল। এই যন্ত্র শুধুমাত্র এদেশে নয় অনেক দেশেই এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই গবেষণার অভিনবত্ব কী?

এই বিষয়ে, আইআইটি গবেষকদের দাবি মূলত এই গবেষণার অভিনবত্ব হল যে এই যন্ত্রের মাধ্যমে সূচের ব্যাস অনেকটা কমিয়ে চুলের চেয়েও সরু করে তুলতে পেরেছেন। শুধু তাই নয় সূচ যাতে কোনওভাবেই পলকা না হয় তার জন্য তার শক্তি ও বাড়িয়ে দিতে পেরেছেন কয়েক গুণ। ফলে ত্বকের নিচে ঢোকানোর সময় সেই সূচ কোনভাবেই ভেঙেও যাবে না। অভিনব এই আবিষ্কার আগামী দিনে যে নজির গড়তে চলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

Previous articleদেশের অগ্রগতি ঘটবে, ২০২৮ অলিম্পিকে বিশ্বের সেরা দশে থাকবে ভারত : রাষ্ট্রপতি
Next articleমহামারি আবহে পরীক্ষার ক্ষেত্রে নয়া ভাবনা শিক্ষা মহলের