মহামারি আবহে পাল্টে গিয়েছে সারা বিশ্বের পরিস্থিতি। বদলেছে পঠনপাঠনের ধরনও। এরই মধ্যে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়কে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিতে হবে বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তিত রাজ্য সরকার। পড়ুয়াদের সুরক্ষা এবং শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে তাই ওপেন বুক এক্সাম পদ্ধতির কথা ভাবছে শিক্ষা মহলের একাংশ।

কী এই ‘ওপেন বুক এক্সাম’? এই পদ্ধতিতে প্রশ্ন ইমেল বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। একই পদ্ধতি মেনে উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠাবে পরীক্ষার্থী। বই দেখে বা অন্যের সাহায্য নিয়ে উত্তর লেখা যায় এই পদ্ধতিতে। সবটা জেনেই এই পদ্ধতি আগেও বেছে নিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় কম নম্বরের মূল্যায়নের জন্য এই ‘ওপেন বুক সিস্টেম’ বা ‘ওপেন বুক এক্সাম’ পদ্ধতি গ্রহণ করে।


অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু বলেন, ” পরীক্ষা সংক্রান্ত ইউজিসির যে গাইডলাইন আছে তা পর্যালোচনা করছি আমরা। রাজ্য সরকারকে প্রস্তাব দেব যাতে ওপেন বুক সিস্টেমের কথা ইউজিসিকে জানানো হয়। এই পদ্ধতিতে ছাত্র-ছাত্রীরা সুরক্ষিত থাকবে। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে।”
