বন্যাকে উপেক্ষা করে কলকাতার পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির ঘাটালের মেধাবী ছাত্র

লেখাপড়ায় বরাবরই মেধাবী। কোনও প্রতিকূলতাই কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। এবারও ব্যতিক্রম কিছু ঘটল না। ঘাটালের বন্যাকে উপেক্ষা করেই কলকাতার পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হলেন রূপক সাহা। বাস অমিল হওয়ায় বাইকে করে এতটা পথ পেরিয়ে জয়েন্ট পরীক্ষা দিতে এলো ওই ছাত্র।

রূপকের বাবা অশোক সাহা দিনমজুর। ঘাটালের পাঁচবেড়িয়া রামচন্দ্র শিশুশিক্ষা মন্দিরের ছাত্র রূপক। এদিন সল্টলেকের টিসিএস গীতবিতানে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষা দিতে আসে ওই ছাত্র। একদিকে বন্যা, অন্যদিকে সংক্রমণের। তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে, এদিন ভোর পৌনে চারটে নাগাদ ঘাটাল থেকে রওনা দেন তাঁরা। সল্টলেকে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা।

গ্রামের মধ্যে সবথেকে বেশি নম্বর পেয়ে এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন রূপক। উচ্চশিক্ষার স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে মরিয়া তিনি। রূপকের বাবা অশোক সাহা বলেন ” ছেলে পরীক্ষা দিতে চায়। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চায়। বাবা হিসেবে এটুকু তো করতেই পারি। খরচ, পরিশ্রম হলেও ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই ওকে বাইকে করে নিয়ে চলে এলাম।”

রাজ্যের ১৫ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার ছিল আর্কিটেকচারের পরীক্ষা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বা সংলগ্ন অঞ্চলে কোনও পরীক্ষা কেন্দ্র হয়নি। তাই পছন্দের পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে কলকাতাকে বেছে নিয়েছিলেন রূপক। এদিন তিনি বলেন, “ঘাটালে বন্যা হয়েছে, সংক্রমণের ভয়ও আছে। কিন্তু উচ্চশিক্ষার সুযোগ বারবার আসে না।” রূপক জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারের থেকে চিকিৎসক হওয়ার বেশি ইচ্ছে তাঁর। তাই ১৩ সেপ্টেম্বর সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষাও তিনি দেবেন।

আরও পড়ুন : তুফানগঞ্জের রাস্তায় ব্যারিকেড, ভাড়া না মেলায় বিক্ষোভে টোটো চালকরা

Previous articleসোয়েবের মুখে সৌরভ বন্দনা!
Next articleপিসির বাড়িতে ভয়াবহ দুষ্কৃতী হামলার সুবিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে টুইট রায়নার