কানাডা ফেরালে মৃত্যু নিশ্চিত, আতঙ্কে কিম জং ইলের প্রাক্তন রক্ষী

কানাডা যদি তাঁকে রাখতে না চায়, দক্ষিণ কোরিয়ায় পাঠায় তাহলে তিনি আর বেঁচে থাকবেন না। আশ্রয় চেয়ে কানাডার অ্যাসাইলাম কর্তৃপক্ষকে এমনই জানালেন প্রয়াত কিম জং ইলের প্রাক্তন দেহরক্ষী।

লি ইয়ং গুক। ৫৭ বছরের লি একসময় উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী প্রশাসক কিম জং ইলের দেহরক্ষী ছিলেন। এখন দেশ শাসন করেন তাঁর ছেলে কিম জং উন।লি বলেন, “১৯৭৮ থেকে আমি কিম জং উনের বাবার দেহরক্ষী।১৯৮৮-৯১ সাল পর্যন্ত মিলিটারি দলের উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলেছি”। তবে স্বৈরাচারী শাসকের হাত থেকে রেহাই পেতে দুবার পালিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রথমবার ধরা পড়েন। তাঁকে কয়েদ করা হয় ইয়দোক কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে। সেখানে তাঁকে ঘনিষ্ঠ ৩০০ জনের দেহ নিজের হাতে কবর দিতে হয়েছিল। বাঁচার জন্য পালাতে হবে বুঝে সুযোগ খুঁজছিলেন তিনি।একসময় সুযোগ হয়। ঝুঁকি নিয়েই ২০০০ সালে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে আসেন তিনি।২০১৬ সালে সেখান থেকে চলে আসেন টরন্টোয় স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে। তাঁর স্ত্রী দেশের সরকারের কাছে স্বামীর আশ্রয় চান। লিও জানান, দক্ষিণ কোরিয়ায় দুবার তাঁকে অপহরণের চেষ্টা হয়েছে। সেখানে থাকা ঝুঁকির বুঝতে পেরেই তিনি কোনওভাবে টরেন্টো চলে আসেন।
তবে কানাডার অভিবাসন ও উদ্বাস্তু দফতর লি-এর আবেদন শুনতে রাজি নন। তাঁরা অপহরণের কথাও মানতে চাইছেন না। তাঁদের বক্তব্য, লি কে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রচণ্ড অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হবে এটা তাঁদের মনে হচ্ছে না।এতেই সমস্যায় লি। তিনি কানাডা সরকারের কথা না শুনলে বিপদে পড়বে তাঁর পরিবার।

এদিকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক এমনিতেই তিক্ত। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার কিছু বিদ্রোহী সীমান্ত এলাকায় উত্তেজক লিফলেট বিলি করছে। তা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার আপত্তি। তারা বিদ্রোহীদের মোটেও সুনজরে দেখছে না। এমন পরিস্থিতিতে লি-এর আশ্রয় নিয়ে আন্তর্জাতিক সমস্যা তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন : কিম জং কোমায়? উত্তর কোরিয়ার দায়িত্বে কি এবার তাঁর বোন?

Previous articleঅক্ষয়ের কারিকুরি ফাঁস করলেন সোনু
Next articleবিজেপির “গণতন্ত্র বাঁচাও” দিবসকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বোমাবাজিতে রণক্ষেত্র কোচবিহার