সুশান্ত মৃত্যু মামলা : সিবিআইকে কী বললেন দিদি মিতু?

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু জট খুলতে তদন্ত করছে এখন সিবিআই। চেষ্টা চলছে মৃত্যুর কয়েকদিন আগে সুশান্ত কী করেছিলেন, কাকে কী বলেছিলেন তা জানতে। সেই সূত্রে সিবিআই আধিকারিকরা জেরা করেন সুশান্ত সিংয়ের দিদি মিতু সিং।

তিনি জানান, সুশান্তের সঙ্গে রিয়ার ঝামেলা হয়েছিল। ৮ জুন রিয়া ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে যেতে সকালে তাঁকে ফোন করেন ভাই। বাড়িতে আসতে বলেন।ওই দিন বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ভাইয়ের কাছে এসেছিলেন নীতু। সুশান্ত বলেছিল লকডাউনে আটকা পড়ে কিচ্ছু ভালো লাগছে না। কোথাও যেতে পারছেন না। পরিস্থিতি ঠিক হলে দক্ষিণ ভারত যাবেন। দিদিকে কিছুদিন তাঁর সঙ্গে থাকতেও বলেন সুশান্ত। তারপর ভাই-বোনে গল্প হয়। সুশান্তের জন্য খাবার বানান মিতু।

১৪ জুন সকাল সাড়ে দশটায় তিনি ভাইকে ফোন করেন। ফোন ধরেননি সুশান্ত। তখন মিতু ফোন করেন ভাইয়ের ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানিকে। জিজ্ঞাসা করেন সুশান্ত কোথায়। সিদ্ধার্থ তখন তাঁকে জানান, সুশান্ত সকালে ডাবের জল, বেদানার রস খেয়েছে। এখন হয়তো ঘুমচ্ছে। নীতু তখন তাঁকে ডাকতে বলেন। সিদ্ধার্থ তাঁকে জানান, দরজা ধাক্কা দিলেও সাড়া পাচ্ছেন না।

এতেই খটকা লাগে মিতুর। তিনি বলেন, সুশান্ত কখনও দরজা দিয়ে ঘুমোয় না। আবার ডাক। কিছুক্ষণ পর সিদ্ধার্থ ফোন করে তাঁকে জানান, সুশান্ত দরজা খুলছেন না। দরজার লক ভাঙতে চাবিওয়ালাকে খবর দিয়েছেন। বিষয়টা ভালো লাগেনি মিতুর। কিছু একটা আঁচ করে ভাইয়ের ফ্ল্যাটের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন নীতু। এরপরেই তাঁর কাছে সিদ্ধার্থের ফোন আসে তালা ভেঙে দরজা খোলা হয়েছে। সুশান্তর ঝুলন্ত দেহ মিলেছে। সুশান্ত বেঁচে নেই।

মিতুর বয়ানের পাশাপাশি ওই দিন সিদ্ধার্থ, নীরজ সিং, চাবিওয়ালারা কী দেখেছিলেন, কী হয়েছিল সেই বয়ান নিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সকলের বয়ানের মিল-অমিল খতিয়ে এর মধ্যে কোথায় খটকা আছে তা খোঁজার চেষ্টা চলছে।ইতিমধ্যে সুশান্তের ফ্ল্যাটে ১৩ জুন ও ১৪ জুন ঘটনার পুনর্নির্মাণ করিয়েছে সিবিআই।

আরও পড়ুন : পরকীয়ার ‘পাপ’ ধুতে যুগল স্নান, জরিমানার ‘খাপ’ নিদান

Previous articleগোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত খয়রাশোল, চলল গুলি-বোমা
Next articleঅক্ষয়ের কারিকুরি ফাঁস করলেন সোনু