আজ বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও দিবস ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছে

আজ বিজেপির রাজ্য জুড়ে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও দিবস’। আর সেই অভিযান ঘিরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। রাজ্যের প্রত্যেকটি বিডিও অফিসের সামনে ধরণা-বিক্ষোভ চলবে সকাল থেকে। কলকাতায় মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সামনে বিজেপির ধরণা মঞ্চে থাকবেন দলের সভাপতি দিলীপ ঘোষ সহ রাজ্য নেতৃত্ব।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। বিজেপি কর্মীদের কোনও কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করছে। বিধায়ক খুন হচ্ছেন। কোভিডের নামে সাংসদকে জোর করে কোয়ারান্টাইনে পাঠাচ্ছে। এ রাজ্যে কোনও বিরোধী দলকে রাজনীতি করতে দেবে না তৃণমূল সরকার। তাই সমস্ত সাব-ডিভিশনাল অফিসের সামনে হবে বিক্ষোভ। ‘আর নয় অন্যায়’, এই অন্যায়-অবিচার আর সহ্য করব না।

তবে বিজেপির এই বিক্ষোভ ঘিরে পুলিশি মহলে ব্যাপক প্রস্তুতি। কোভিড পরিস্থিতির মাঝে কোনওরকম বেনিয়ম তারা বরদাস্ত করতে রাজি নয়। বহু জায়গায় মঞ্চ সরাতে বাধ্য করা হয়েছে। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ পুলিশ তৃণমূলের কথায় কাজ করছে। নিয়ম পদ্ধতি মানা সত্ত্বেও সভার অনুমতি মিলভহে না।

বিজেপি রাজ্য সভাপতির দাবি, অনেক হয়েছে। শাসক দলের বেয়াদপি সহ্য করেছি। এবার পথে নামতেই হবে। মানুষ আর চাইছে না এই সরকার। এবার পরিবর্তন চান মানুষ। ঊনিশে হাফ আর একুশে সাফ বলেছিলাম আমরা, তার শুরুয়াৎ শুরু হল। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। রাজ্যে কম করে ৭৫টি বিডিও অফিসের সামনে এই বিক্ষোভ হবে।

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, করোনা পরিস্থিতির মাঝে এই ধরণা-বিক্ষোভ করে মানুষকে বিপদে ফেলছে। এরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশও মানে না। এরা মানুষের কথাও ভাবে না। এরা কী মানুষের উপকার করবে?

ইতিমধ্যে সকাল থেকে বিভিন্ন জেলায় দলীয় নেতারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। রাহুল সিনহা, সায়ন্তন বসু, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ শীর্ষ নেতারা থাকবেন মেয়ো রোডের সভায়। পাশাপাশি পুলিশও মেয়ো রোডের গান্ধী মূর্তি এলাকা কর্ডন করে দেওয়া হয়েছে। কোনওরকমের নিয়ম উল্লঙ্ঘন তাঁরা মানতে নারাজ। অন্যদিকে রাজ্য জুড়ে বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, পুলিশ যদি এদিন দলদাসের মতো ভূমিকা নেয়, তাহলে সঙ্ঘর্ষ হবে। অন্যদিকে দিল্লি থেকেও এই কর্মসূচির উপর নজর রাখা হচ্ছে। তারাও দেখতে চান, এই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজ্য বিজেপি নেতারা এক হয়ে লড়াই করছেন কিনা। কারণ, যুব কমিটি থেকে রাজ্য কমিটি, সমস্ত বিষয় নিয়েই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজ্য সভাপতি এই ঘটনায় অসন্তুষ্ট। তবে তিনি এ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে নারাজ। তবে দেখার বিষয় আজকের ধরণা মঞ্চে মুকুল রায়ের উপস্থিতি নিয়ে। তিনি থাকবেন বলেই খবর। মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু থাকেন কিনা সেটাও দেখার। সাংসদ, যুব সভাপতি সৌমিত্রর যুব কমিটিতে শুভ্রাংশু নেই। ফলে গুঞ্জন রয়েছে। রাজ্য কমিটিতেও পদাধিকারীদের দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তার মাঝে এই বিক্ষোভ দলের ফাঁক-ফোঁকড় ভরাট করে কিনা সেটাই দেখার।

Previous articleলাদাখ সমস্যা জিইয়ে রাখতে দায়ী চিন, স্পষ্ট জানাল ভারত
Next articleমাদকযোগে সাতসকালে তল্লাশি রিয়া- শৌভিকের বাড়ি