জেল থেকে ফিরেই জেলা সভানেত্রীর বিরুদ্ধেই বিষোদগার বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতির

জামিনে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফিরেই জেলা সভানেত্রীর বিরুদ্ধেই বিষোদগার করলেন বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি! এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে এলো গেরুয়া শিবিরের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়েই তাঁকে গ্রেফতার করিয়েছেন তাঁরই দলের জেলা সভানেত্রী, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন ওই বিজেপি নেতা! যা নিয়ে শুধু জেলা নয়, রাজ্য বিজেপির অন্দরেও শোরগোল পরে গিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত, তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়াকে রাস্তা সারাইয়ের দাবি নিয়ে সম্প্রতি হেনস্থা করে কয়েকজন বিজেপি সমর্থক। অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ১৩ নম্বর অঞ্চলের শিবচক গ্রামে মানস ভূঁইয়াকে হেনস্থার পিছনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি অজিত মণ্ডল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ৪ জন বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করে সবং থানার পুলিশ। এদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল অজিত মণ্ডলের। গত ৪ অগাস্ট অজিত মণ্ডল-সহ ৪ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করার পর ১৮ দিন জেল খাটার পর জামিনে ছাড়া পান তারা। আর জেল থেকে বেরিয়েই ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন অজিত মণ্ডল।

দলের ভিতরে-বাইরে অজিত মণ্ডল জোড়ালি দাবি তুলে বলেন, তৃণমূলের মানস ভুঁইয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করিয়েছিলেন তাঁদেরই নেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্য। জেলে যাওয়ার পর কোনও খোঁজও নেননি অন্তর। বরং, কলকাতা থেকে ভারতী ঘোষ এসে তাঁদের খোঁজখবর নিয়েছেন।

এখানেই শেষ নয়, অজিত শীর্ষ নেতৃত্বকে হুশিয়ারীরর সুরে বলেন, অন্তরা ভট্টাচার্যকে জেলা সভানেত্রীর পদ থেকে অবিলম্বে সরানো না হলে বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন ধরাবেন তিনি।

পাল্টা অন্তরা ভট্টাচার্য দাবি করেন, সব মনগড়া কথা বলছেন অজিত মণ্ডল। তাঁকে পদ থেকে সরানোর জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মানস ভুঁইয়ার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর। সত্যি-মিথ্যা যাই হোক, এই ঘটনায় স্পষ্ট, জেলা বিজেপির মধ্যে ব্যাপক ভাবে দানা বেঁধেছে অন্তর্কলহ। যা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অশনি সঙ্কেত গেরুয়া শিবিরের জন্য।

Previous articleCSR দেখাতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলকে বাদ দিয়ে ফাউণ্ডেশন করেছে শ্রী সিমেন্ট
Next articleআইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও চন্দা কোচারের স্বামী ইডির হাতে গ্রেফতার