মুকুল সহসভাপতি, শোভন জাতীয় পরিষদে; ঘোষণা ক’দিনেই?

কয়েকদিন আগেই বিশ্ব বাংলা সংবাদ যে ইঙ্গিত দিয়েছিল, সেরকমই ঘটতে চলেছে।
সূত্রের খবর, এতদিন কোনো গুরুত্ব না দিলেও ভোটের মুখে কোনো ফাঁক রাখতে চায় না বিজেপি। মুকুল রায়কে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতির পদ দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে বাংলার নির্বাচন কমিটির দায়িত্ব। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নেওয়া হবে জাতীয় কর্মসমিতিতে। তিনিও থাকবেন নির্বাচন কমিটিতে। দিল্লির এই সিদ্ধান্ত ক্ষমতাসীন শিবিরকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। দিলীপ ঘোষ এবিষয়ে নতুন করে আর কিছু বলতে চাননি। দিলীপবাবু এবং সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে বলে দিলীপবিরোধী শিবির রটাচ্ছে। দিলীপপন্থীরা বলছে রুটিন বৈঠকে যাবেন তিনি। এদিকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবারের কলকাতা সফরে যেভাবে মুকুল রায়কে সঙ্গে নিয়ে ঘুরেছেন, প্রশংসার বিশেষণে ভরিয়েছেন, তাতে একটি শিবির একে দিল্লির বার্তা হিসেবেই দেখছে। মুকুল রায়দের নিয়োগের খবর 10 সেপ্টেম্বরের পর যে কোনোদিন ঘোষণা হবে। একাংশ চাইছে 17 সেপ্টেম্বর মহালয়া। দেবীপক্ষের সূচনার দিন। তখনই মুকুলের বড় পদপ্রাপ্তি ঘোষণা করুক দিল্লি। মুকুলশিবিরের মতে তারপর রাজ্য রাজনীতি বদলে যাবে। দিলীপশিবির একে কৌশলী স্বান্তনা পুরস্কারের বাইরে কিছু ভাবতে নারাজ। তবে বিজেপিতে আর এক পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সেটি অবশ্য নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতিতে। এখন তথাগত রায়কে ঠিক কোন্ ভূমিকায় মাঠে নামানো হবে, তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। তথাগতবাবু সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সামনে থাকতেও তৈরি ছিলেন। কিন্তু কৈলাস ঘোষণা করে দিয়েছেন বিজেপি আলাদা করে কাউকে মুখ হিসেবে প্রজেক্ট করে লড়বে না। এই সব টানাপোড়েনের মধ্যে মুকুল যদি সত্যিই সর্বভারতীয় সহসভাপতিপদ পান, তাহলে মুকুলশিবির অনেক চাঙ্গা হয়ে যাবে। শোভনকেও সক্রিয়ভাবে দেখা যাবে। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষা সংক্রান্ত শাখায় কাজ দেওয়া হতে পারে।

 

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleমাদক তদন্তে আজ ফের এনসিবির মুখোমুখি রিয়া