বিহারের মন পেতে বাঙালি ব্রাহ্মণকন্যা রিয়াকে ফাঁসাচ্ছে বিজেপি! দাবি অধীরের

চলতি বছরের শেষেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। আর ঠিক তার আগে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। এবং দাবার বোড়ে করা হচ্ছে বাঙালি ব্রাহ্মণ কন্যা রিয়া চক্রবর্তীকে। এমনটাই দাবি করলেন, প্রদেশ কংগ্রেসের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। নজর ঘোরাতেই সুশান্তের মৃত্যুর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করাচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দল।

এদিন তিনি বলেন, “সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি চলছে। সে আমাদের দেশের তারকা। আমরা সবাই তাঁকে ভালোবাসি। তাঁর অভিনয়ের জন্য গর্ব করি। তাঁর মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। আমরাও চাই সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবার সুবিচার পাক। কিন্তু তার জন্য নির্দেশ কাউকে ফাঁসানো হবে, এটা হতে পারে না। বিজেপি সেটাই করছে।”

এরপর সুর ছড়িয়ে অধীর বলেন, ” সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু এবং রিয়া চক্রবর্তীকে নিয়ে বিহারি আর বাঙালির মধ্যে ভাগ করা উচিত নয়। বিহারের ভোটকে সামনে রেখে রাজনীতি করছে বিজেপি। রিয়া চক্রবর্তী একজন বাঙালি। কিছু প্রমাণ হওয়ার আগেই মিডিয়া ট্রায়ালে দোষী হয়ে গিয়েছে সে। রিয়া বাঙালি বলেই বিজেপি রাজনীতি করছে। তাঁকে ফাঁসাচ্ছে। কোনও দুর্নীতি বা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার প্রমাণ হয়নি। ওর বাবা একজন সৈনিক। দেশের জন্য অনেক অবদান রয়েছে তাঁর। সুশান্তের জন্য আমরাও
ন্যায়-বিচার চাইছি। কিন্তু বিজেপি বাঙালি রিয়াকে ফাঁসিয়ে বিহারের মন পেতে চাইছে ভোটের আগে। এটা বিজেপির চাল।”

এখানেই শেষ নয়। অধীর আরো বলেন, “মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মাদক অনেকেই নেয়। তাহলে শুধু রিয়া কেন সবাইকেই জেলে ঢোকাক। উদর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে। আমি প্রশ্ন করছি বাংলার বিজেপি নেতাদের, আপনারা চুপ করে আছেন কেন। বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়েকে অন্যায় ভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। বাংলার বিজেপি কী বলবে? আসলে এরা বিহারে বিহারের মতো, বাংলায় বাংলার মতো। কোনও উত্তর দিতে পারবে না।”

একইসঙ্গে এদিন কঙ্গনাকে রানওয়াতকে একহাত নেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, কঙ্গনা বিজেপি ক্যাডারদের মতোই আচরণ করছে।

পাশাপাশি, একজন ভারতীয় হিসেবে সেনাদের কৃতজ্ঞতা জানান অধীর। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। একইসঙ্গে অরুণাচলে ৫ জন নিখোঁজ ভারতীয়, যারা চিন সেনার কব্জায় আছেন বলে মনে করা হচ্ছে, তাদেরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্র সরকারকে চিন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার দাবি জানান অধীর।

Previous articleমস্কোয় ভারত-চিন বৈঠকে মুখোমুখি, মিটবে কি সংঘাত!
Next articleকঙ্গনা ইস্যুতে উদ্ধবকে কী পরামর্শ দিলেন পাওয়ার?