মস্কোয় ভারত-চিন বৈঠকে মুখোমুখি, মিটবে কি সংঘাত!

আলাপ আলোচনা চলছে। চলছে সংঘাতও। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে মস্কোয় মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারত ও চিনের বিদেশ মন্ত্রী।

ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চিনের বিদেশমন্ত্রী  ওয়াং ই-র বৈঠক সফল হবেই এমন আশা বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরোপুরি নেই। তবে পূর্ব লাদাখে চিন-ভারত উত্তেজনা প্রশমনে কোনও রাস্তা বের হলেও হতে পারে।দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে। ব্যবসা-বাণিজ্যর অবস্থাও তাই। এতদিন চিন সীমান্তে আস্ফালন করলেও, ভারতে বাণিজ্যে তাদের অসুবিধে হয়নি।বরং ভারতে কেন্দ্র করে তাদের অর্থনীতির রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

আরও  খবর : সার্বভৌমত্ব নষ্টের চেষ্টার জবাব রাফাল, বার্তা রাজনাথের

তবে এবার ভারত একাধিক চিনা অ্যাপের পাশাপাশি চিনা ব্যবসায়িক সংস্থার বড় বড় প্রজেক্টের টেন্ডার বাতিল করায় ধাক্কা খেয়েছে তারা। সূত্রের খবর চাপে পড়েই চিন কিছুটা নমনীয় হলেও হতে পারে।

গত কয়েকমাস ধরে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনা লাল ফৌজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বৈঠকে সেনা সরানোর কথা বলা হলেও, আদতে যে সেটা হচ্ছ না একাধিক উপগ্রহ চিত্রে তা স্পষ্ট। তার মধ্যে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সোমবার গুলি চলার ঘটনায় উত্তেজনার পারদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৪৫ বছর পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় এভাবে গুলি চলেছে। চিন-ভারত দু’জনেই দু’জনের দিকে আঙুল তুলেছে। গুলিতে হতাহত কেউ হয়নি ঠিকই, তবে এটাকে ‘ওয়ার্নিং শট’ বলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দু’দফায় মন্ত্রী জয়শঙ্কর ও ওয়াং ই-এর বৈঠকের কথা। প্রথমটা হবে ত্রিপাক্ষিক। সেখানে থাকবে ভারত, চিন ও রাশিয়া।লাদাখে সংঘর্ষের পর ভিডিও কনফারেন্সে একবার এই বৈঠক হয়েছিল। তারপর মুখোমুখি বসবেন ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রী।

মস্কোর যাওয়ার আগে তাঁর প্রকাশিত বইয়ে বিদেশমন্ত্রী বলতে চেয়েছেন, এখন আর অর্থনীতি, বাণিজ্যকে আলদা করে দেখা চলবে না। কারণ, চিন এতদিন ভারতের সঙ্গে অশান্তি করেও ব্যবসা সুন্দরভাবে চালিয়ে গিয়েছে। এবারই প্রথম তারা বাণিজ্যে ভারতের তরফে ধাক্কা খেয়েছে।

জানা গিয়েছে, শীতে পূর্ব লাদাখের প্রতিকূল আবহাওয়ায় উত্তেজনা যাতে কমানো যায় সে চেষ্টা হবে। কারণ, প্রতিকূল আবহাওয়া দুই দেশের সেনাবাহিনীর পক্ষেই বিপজ্জনক। তাতে আখেরে দুই দেশেরই ক্ষতি। পাশাপাশি চেষ্টা হতে পারে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে চিন যদি প্রকৃতই উদ্যোগী হয় তাহলে দুই দেশের ব্যবসায়িক প্রতিবন্ধকতা দূর করার। এই বৈঠক কতটা গুরুত্বপূর্ণ হবে তার জন্য হয়তো বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

Previous articleমৎস্য সম্পদ যোজনা প্রকল্প উদ্বোধনে ই-গোপালা অ্যাপের সূচনা প্রধানমন্ত্রীর
Next articleবিহারের মন পেতে বাঙালি ব্রাহ্মণকন্যা রিয়াকে ফাঁসাচ্ছে বিজেপি! দাবি অধীরের