রিয়া চক্রবর্তী-মামলায় নতুন মোড়৷
জোর করে তাঁর কাছ থেকে অপরাধমূলক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে৷ চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ এনে হেফাজতে থাকা অভিনেত্রী রিয়া সমস্ত অপরাধমূলক স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নিলেন৷

মাদককাণ্ডে NCB-র হাতে গ্রেফতার হওয়া রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের আর্জি মঙ্গলবার রাতেই খারিজ করেন ম্যাজিস্ট্রেট৷ NCB-র দাবি মেনে রিয়ার ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতই মঞ্জুর করা হয়৷
ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বুধবার সকালেই সেশন কোর্টে রিয়ার নতুন জামিনের আবেদন দাখিল করেন অভিযুক্তর আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে। ওই আবেদনে মানেসিন্ধে বলেছেন, তাঁর মক্কেল রিয়া চক্রবর্তী ‘নির্দোষ’, তাঁকে এই মামলায় মিথ্যা ফাঁসানো হচ্ছে। হলফনামায় বলি হয়েছে, রিয়া কোনও অপরাধ করেননি।

আজ, বৃহস্পতিবার মুম্বই সেশন কোর্টে এই জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। সেশন কোর্টে পেশ করা জামিনের এই আবেদনেই রিয়া NCB-র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে নিজের বয়ান ফেরত নিয়েছেন৷
জামিনের আর্জিতে রিয়ার বক্তব্য, জোর করে তাঁকে দিয়ে অপরাধমূলক স্বীকারোক্তি করিয়েছে ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

আরও গুরুতর অভিযোগ এনে রিয়া চক্রবর্তী হলফনামায় বলেছেন, “গত রবিবার থেকে টানা তিনদিন জেরা করেছেন NCB অফিসাররা৷ জেরার সময় একজনও মহিলা অফিসার ছিলনা, অথচ আইন অনুসারে মহিলা অফিসার থাকা বাধ্যতামূলক”। রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে এই প্রসঙ্গে শীলা বারসে বনাম মহারাষ্ট্র সরকারের একটি মামলার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন৷ রিয়ার আর্জিতে বলা হয়েছে, “মহিলা অভিযুক্তদের জেরার সময় মহিলা পুলিশ বা কনস্টেবেল থাকা বাধ্যতামূলক। আদালতের সেই গাইডলাইন NCB
মেনে চলেনি৷

এই আর্জির ভিত্তিতেই আজ সেশন কোর্টে রিয়ার জামিনের আবেদনের শুনানি হবে৷ প্রসঙ্গত, দেশের বিচার প্রক্রিয়ায় বলা আছে, কোনও ধারায় যদি ১০ বছর বা তার বেশি সাজা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে সেই মামলায় জামিন মঞ্জুর করবার এক্তিয়ার কোনও ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের বিচারকের নেই। রিয়ার উপর দেওয়া একাধিক ধারার অন্যতম, NDPS আইনের ২৭ (এ) ধারা৷ এই ধারায় অভিযোগ প্রমানিত হলে কমপক্ষে ১০ বছর, এবং সর্বাধিক ২০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে। সম্ভবত জামিন দেওয়ার এক্তিয়ার না থাকার কারনেই মঙ্গলবার রিয়ার আর্জি খারিজ করেন বিচারক৷
