করোনা আবহের মধ্যেই সংবিধানের রীতি রক্ষায় সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। আর বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনেই চালিয়ে ব্যাট করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসই যে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার ফের তা প্রমাণ হয়ে গেলো। বাদল অধিবেশনের প্রথমদিনে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে। আর তিনি যেখানে শেষ করেন, এদিন যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন অভিষেক। ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল সাংসদ এদিন আসরে নামেন অভিষেক। এবং কেন্দ্রের একের পর এক জনবিরোধী ইস্যু তুলে ধরে তীব্র আক্রমণে করলেন বিজেপি সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। যদিও পরিস্থিতির কারণে সংসদ ভবনে সশরীরে থাকতে পারেনি তিনি। তবে টুইটে যে যুক্তি তুলে ধরে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে কেন্দ্রের মোদি সরকারের একহাত নিয়ে অভিষেক বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও ধারণাই নেই করোনা আবহে লকডাউন পর্বে দেশজুড়ে কত মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। কত মানুষের জীবন গিয়েছে ! কবে এই অমানবিক সরকার শেষ হবে?”

প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার সংসদের বাদল অধিবেশনে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিতেই পারেনি কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, লকডাউনে পথেই কত জন মারা গিয়েছে, তার কোনও হিসেব সরকারের কাছে নেই। তাই হিসেব না থাকায় ক্ষতিপূরণও নেই। এমনকি কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ হারানো মানুষের সঠিক সংখ্যাও কেন্দ্রের কাছে নেই। কেন্দ্রের এই বক্তব্যের পরই দেশজুড়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। আর এদিন এই ইস্যুতেই নরেন্দ্র মোদি সরকারকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রও।

উল্লেখ্য, আগামী পয়লা অক্টোবর পর্যন্ত সংসদে চলবে বাদল অধিবেশন। তবে এবার বাদল অধিবেশনে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রশ্নোত্তর পর্ব। কাটছাঁট করা হয়েছে জিরো আওয়ারও। যা নিয়েও বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। পাশাপাশি করোনা আবহে সাংসদদের সুরক্ষা স্বার্থে দুই কক্ষের অধিবেশনের সময়ও ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভার সময় বিকেল ৩টে থেকে ৭টা পর্যন্ত। অন্যদিকে রাজ্যসভা চলবে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। কিন্তু তার মধ্যেও দুরন্ত কৌশলে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে অভিষেক যে ভাষায় কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন, তা লা-জবাব!!!

আরও পড়ুন- উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধের নিদান দিয়ে ফের বিতর্কে অনুব্রত
