গুড়াপে পুলিশের ‘অতিসক্রিয়তা’ র জের, দায় পড়ছে তৃণমূলের ঘাড়ে

দিন রাত চায়ের দোকানে বিজেপি কর্মীদের আড্ডা হচ্ছে। এই খবর ছিল পুলিশের কাছে। সেই আড্ডা ভাঙতে যায় পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের অতিসক্রিয়তা মুখে পড়ে চা দোকানদারের গোটা পরিবার। দোকানদারের মা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। ঘটনা হুগলির গুড়াপের। পুলিশের এই আচরণে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। অথচ গোটা ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।

ঘটনা মঙ্গলবার রাতের। ধনেখালি গুড়াপ থানার অন্তর্গত নেদামপুর মোড়ে ওই চায়ের দোকানে একদল পুলিশ যায়। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন দোকানের মালিক কৌশল ধারা এবং তাঁর মা কৃষ্ণা ধারা। কৌশলকে উদ্দেশ করে ওসি বলেন, চায়ের দোকান সামনে রেখে বিজেপির পার্টি অফিস পরিচালনা করা হচ্ছে। এই বলেই লাঠি নিয়ে চড়াও হয় কৌশলের উপর। কৌশলকে বাঁচাতে যায় তাঁর মা কৃষ্ণা ধারা। অভিযোগ, সেই সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী তাঁর মায়ের উপর চড়াও হয়। পুলিশের লাঠির ঘায়ে কৃষ্ণা ধারার মাথা ফাটে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে কৌশলের ভাই সুব্রত ধারা এবং তার বাবা সঞ্জিৎ ধারা হাজির হয়। কৌশল এবং তাঁর বাবাকে আটক করে পুলিশ। গুড়াপের পলাশি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কৃষ্ণা ধারাকে।

গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, অপরাধ করে থাকলে গ্রেফতার কেন করল না পুলিশ? কেন এভাবে পুরুষ পুলিশকর্মীরা মহিলাকে মারধর করল? এদিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে কৃষ্ণা ধারাকে। খবর পেয়ে এদিন জেলা বিজেপির সভাপতির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল হাজির হয় চুঁচুড়া হাসপাতালে।

আরও পড়ুন- ১০০ টাকা কিলো পেঁয়াজ, ১৬৫ ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়

Previous article১০০ টাকা কিলো পেঁয়াজ, ১৬৫ ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়
Next articleভারতের নতুন সংসদ ভবন তৈরির বরাত পেল টাটা গোষ্ঠী